বাংলাদেশ মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে খেলছে । সাদা পোশাকে এটি টাইগারদের ১১২তম টেস্ট। এর আগে প্রতিটি ম্যাচে অন্তত একজন পেসার দিয়ে একাদশ সাজিয়েছে তারা। কিন্তু মিরপুরে ঘটল ব্যতিক্রম ঘটনা। কোনো পেসার ছাড়াই ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে লড়াইয়ে নেমেছে সাকিব আল হাসানের দল। তাতেই ইতিহারে পাতায় নাম উঠে গেছে টাইগারদের।
টেস্টের ইতিহাসে বিশেষজ্ঞ পেসার ছাড়া একাদশ নিয়ে মাঠে নামার ঘটনা এর আগে ঘটেছেই মাত্র একবার! মনসুর আলী খান পাতৌদির নেতৃত্বে ১৯৬৭ সালে বার্মিংহাম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার স্পিনার নিয়ে খেলতে নেমেছিল ভারত। একাদশে কোনো স্পেশালিস্ট পেসার ছিল না। তবুও ওই ম্যাচে দু’জন অকেশাল পেসারকে ব্যবহার করেছিলেন পাতৌদি।
চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের পেস বিভাগে ছিলেন কেবল মোস্তাফিজুর রহমান। তাও নামমাত্র। পুরো খেলায় মোস্তাফিজকে বলতে গেলে দরকারই পড়েনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে মোটে ৪ ওভার বোলিং করেন তিনি। মিরপুরে টেস্টে পেস বোলিংয়ের সম্ভাবনা নিয়ে তাই ছিল কৌতুহল। যদিও টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সাকিব একাদশে অন্তত একজন পেসার রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সাকিব বলেছিলেন, ‘ঢাকার উইকেট সকাল বেলা একটু হলেও পেস বোলারদের সবসময় সহায়তা করে। বিশেষ করে এমন আবহাওয়ায়, যখন একটু কুয়াশা পড়ে, একটু ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব থাকে। সেটাও আমাদের বিবেচনায় আছে।’
তবে বাংলাদেশের একাদশ ঘোষণার পর সেখানে কোনো পেসার দেখা গেল না। সাকিবের সঙ্গে দুই অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ আর নাঈম হাসান আর বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম- এই হল বোলিং লাইনআপ। চট্টগ্রামে অবশ্য বাংলাদেশের জয়ের কারিগর ছিলেন তারাই। মিরপুরের উইকেটও স্পিন সহায়ক। কাজেই বাংলাদেশকে জেতাতে বল হাতে জ¦লে ওঠতে হবে মিরাজ-তাইজুলদেরই।