চট্টগ্রামের আলোচিত সংসদ সদস্য এম এ লতিফ মেয়র মহিউদ্দিনের মৃত্যুর পর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগে নানা মেরুকরণের মধ্যে লতিফের ‘গ্রুপ বদল’ নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির পর প্রয়াত সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন । দীর্ঘদিন ধরে মহিউদ্দিনের বাসায় ‘নিষিদ্ধ’ থাকা লতিফকে রোববার তাঁর জেয়াফত অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। লতিফ নিজেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি এখন মহিউদ্দিন গ্রুপে।
এদিকে, চট্টলবীর’ খ্যাত মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি, সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বেঁচে থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা চট্টগ্রামে শহরেই হতো বলে মন্তব্য করেছেন বন্দর আসনের সংসদ সদস্য এমএ লতিফ।
রোববার (১৮ মার্চ) দুপুরে ষোলশহর দুই নম্বর গেটের চশমা হিল মহিউদ্দিন চৌধুরীর ত্রৈমাসিক ফাতেহায় এসে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এমএ লতিফ মহিউদ্দিন চৌধুরীর দুই ছেলের প্রশংসা করে বলেন, মহিউদ্দিন ভাইয়ের ছেলে নওফেল ও সালেহীন সুশিক্ষিত। তাদের আচার-ব্যবহার মার্জিত। তারা ভালো ছেলে। তারা কাউকে অমর্যাদা করবে না। কাউকে খাটো করে দেখবে না। যাদের জ্ঞানের পরিধি থাকে না তারা আন্ডারমাইন্ড করে।
একসময় মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধ স্রোতের রাজনীতিতে থাকা এমএ লতিফ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আগেও মহিউদ্দিন ভাইয়ের বাসায় এসেছি। তার কবর জেয়ারত করেছি। জীবদ্দশায় হয়তো গ্রুপিংয়ের কারণে আমার আসা-যাওয়া কমে যায় সেটি অসত্য নয়। মহিউদ্দিন চৌধুরী ভাইয়ের চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগে যে অবদান, ত্যাগ, ভূমিকা সেটি চট্টগ্রামের অন্য কোনো আওয়ামী রাজনীতিকের আছে বলে আমি মনে করি না। তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা ছিল। যদিও গ্রুপিংয়ের কারণে আমি দূরে ছিলাম।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, আমার বাবার তিন মাসের ফাতেহা উপলক্ষে নেতা-কর্মীরা এসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগদানের বিষয়ে আমরা খসড়া আলোচনা করেছি। বাকিটা বিকেলে বর্ধিত সভায় চূড়ান্ত করা হবে।
সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ত্রৈমাসিক ফাতেহা রোববার (১৮ মার্চ) দুপুরে ষোলশহর দুই নম্বর গেটের চশমা হিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।বেলা ১১টা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসভবনটি।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য মাঈনুদ্দিন খান বাদল, এমএ লতিফ, আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল আলম দোভাষ, হাসান মনসুর, যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, কাউন্সিলর মোরশেদ মো. মোরশেদ আলম প্রমুখ।