স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন রপ্তানিতে ভারত যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হবে না বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। এ চুক্তি অনার করার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দেশের বাইরে ভারতের ভ্যাকসিন বিক্রির নিষেধাজ্ঞার খবরে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সম্পর্কে আমরা পুরোপুরি অবহিত নই, আপনারা যেমন শুনেছেন, আমরাও তেমনটাই শুনতে পেরেছি। এরপর আমাদের ফরেন মিনিস্ট্রি, তাদের হাইকমিশনে, ফরেন মিনিস্ট্রিতে আলাপ করেছে। তারা আশ্বস্ত করেছে, চুক্তি ব্যাহত হবে না।
তিনি বলেন, ভারত সরকার এমার্জেন্সি ভিত্তিতে তাদের দেশে প্রয়োগ করবে। এজন্য তারা আপাতত বিক্রি বন্ধ রাখবে বলে শুনেছি।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমরা আশাবাদী যে, এটা নিয়ে সমস্যা হবে না।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, তারা ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য ডব্লিউএইচও-তে আবেদন করেছে। অনুমোদন পেলে তা প্রয়োগ করবে। চুক্তিতেও সেটা আছে- অনুমোদন পাওয়ার পর আমাদের ভ্যাকসিন দিবে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি, যতটুকু আলোচনা হয়েছে, আমারা চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাকসিন পাবো। এ চুক্তিও একটা আন্তর্জাতিক চুক্তি। চুক্তি অনার করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
একই সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান বলেন, ভারতে টিকা রপ্তানির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তার প্রভাব বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া চুক্তির ওপর পড়বে না। তিনি বলেন, তার সঙ্গে বাংলাদেশে ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনারের কথা হয়েছে। যে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হচ্ছে, তা দেশটির অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে হওয়া চুক্তি। বাংলাদেশ যে চুক্তি করেছে, সেটা সরকারের সঙ্গে সরকারের। এটা আন্তর্জাতিক চুক্তি। এর ব্যাখ্যায় পরে তিনি বলেন, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তিন কোটি ডোজ টিকার কথা বলেছেন।
সচিব বলেন, সুতরাং, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। দুশ্চিন্তারও কিছু নেই। তা ছাড়া সিরামের টিকার অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেতে আরও তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগবে। তাই বাংলাদেশে টিকা আসার যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে, সে সময়ই টিকা আসবে।