উপসাগরীয় নেতারা সৌদি আরবে ‘সংহতি ও স্থিতিশীলতা’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন । মঙ্গলবার জিসিসি সম্মেলন উপলক্ষে একসঙ্গে বসেন তারা। এর আগে সোমবার কাতারের ওপর থাকা অবরোধ তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। তবে নতুন চুক্তিকে নতুন কোনো অধ্যায় বলতে নারাজ আল-জাজিরার প্রতিবেদক জামাল এলশায়াল। তিনিই গণমাধ্যমটির হয়ে জিসিসি সম্মেলনের খবর প্রচার করছেন। জামাল এলশায়াল জানিয়েছেন, সৌদি আরব, কাতার ও কুয়েতের নেতারা গত সাড়ে তিন বছর ধরে চলা বিবাদ যা এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে রেখেছিল সেটি মিটিয়েছেন। একে শুধুমাত্র উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে স¤পর্কের নতুন অধ্যায়ই নয়, একইসঙ্গে সৌদি আরবের জন্যও নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সৌদি ক্রাউন্স প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে আগে যেমন খেয়ালী এবং অক’টনৈতিকসুলব ছিলেন এখন তার পরিবর্তন এসেছে।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ছিল। এই সম্মেলনেই আল-উলাহ সমঝোতা স্বাক্ষরিত হবে। এতে আমরা উপসাগরীয়, আরব ও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সংহতি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবো। মধ্যস্থতা করায় জাতিসংঘ ও কুয়েতকে ধন্যবাদ দেন ক্রাউন প্রিন্স। তিনি আরো যুক্ত করেন, মধ্যপ্রাচ্যকে আরো এগিয়ে নিতে এবং এ অঞ্চল যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে তা মোকাবেলায় আমাদের এই ঐক্যের প্রয়োজন ছিল। এসময় তিনি ইরানের শাসকগোষ্ঠীকে হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বলেন, ইরানের পরমাণু ও ব্যালিস্টিক মিসাইল কার্যক্রম এবং দেশটির ধংসাÍক পরিকল্পনা সমগ্র অঞ্চলের জন্য হুমকি।