দুই চিকিৎসক ও পুলিশের এক কর্মকর্তাসহ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আরো ছয়জন শেরপুরে । শুক্রবার রাতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের করোনা ফোকাল পারসন ডা. মোবারক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আক্রান্তরা হচ্ছেন- নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইজন চিকিৎসক, ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা, জেলা সদর হাসপাতালের এক এ্যাম্বুলেন্সচালক, সিভিল সার্জন অফিসের এক পিয়ন ও নারায়ণগঞ্জফেরত সদর উপজেলার ধলা ইউনিয়নের রসূলপুর গ্রামের এক যুবক। এদের সবাইকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, এর প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ আশপাশের বাজার্দী ও বাদাগৈড় এলাকার ৩০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
ডা. মোবারক জানান, ঝিনাইগাতী থানায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্টদের সংস্পর্শে আসা অর্ধশতাধিক করোনা সন্দেহভাজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলায় মোট আক্রান্ত ১৫ জনের মধ্যে আটজনই স্বাস্থ্য বিভাগের। তবে প্রথম করোনা আক্রান্ত দুই নারী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন ১৩ জন।
এ সম্পর্কে সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনোয়ারুর রউফ জানান, বৃহস্পতিবার শেরপুর থেকে করোনা সন্দেহে ৩৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে তা পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিট ল্যাবে পাঠানো হয়। আজ হাতে পাওয়া রিপোর্টে দুই চিকিৎসক, পুলিশের এক কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য বিভাগের দুই কর্মচারীসহ ছয়জনের নমুনায় করোনা ভাইরাস পজিটিভ আসে। এছাড়া আজ আরো ৩৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।