কোতয়ালী থানা পুলিশ।বৃহস্পতিবার কোতয়ালী ও হালিশহর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় চট্টগ্রামে বিদেশি মুদ্রা জালিয়াত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও চারটি বিদেশি নোট উদ্ধার করা হয়েছে। রানা ও হালিম নামে চক্রের আরো দুজন সদস্য পলাতক রয়েছে।গ্রেফতারকৃত দুইজন হল, কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া মুকিমপুর এলাকার মো. হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো. জাহান হোসেন প্রকাশ সুমন (২৮) ও বরগুনা জেলার তালতলী পশ্চিম হরিণখোলা এলাকার মো. আবু হানিফের ছেলে মো. জয়নাল আবেদীন (৩৪)।
পুলিশের দেওয়া বিবৃতি, বুধবার (২৫ নভেম্বর) মোহাম্মদ হোসেইন নামে এক ব্যক্তি এবি ব্যাংকের এনায়েত বাজার শাখা থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. জাহান হোসেন প্রকাশ সুমন তার কাছে কিছু বিদেশি মুদ্রা রয়েছে বলে জানান। তাকে দেখতেও দেন মুদ্রাগুলো। ভালোভাবে দেখার আগে তা আবার নিয়েও নেন। এসময় আরও কয়েকজন ব্যক্তি এসে নোটগুলোর দাম অনেক বলে জানান। তাদের একজন প্রতিটি নোট ১৫ হাজার টাকায় কিনতেও চান। দুইটি নোট ৩০ হাজার টাকায় কেনেন ওই ব্যক্তি। বাকি নোটগুলো মোহাম্মদ হোসেইনকে কেনার অনুরোধ জানান ওই সিএনজি অটোরিকশা চালক। মোহাম্মদ হোসেইন চারটি নোট ৬০ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেন।
বাসায় গিয়ে মোহাম্মদ হোসেইন তার ছেলেকে দেখানে নোটগুলো ওমানের এবং সেগুলোর দাম ২২ টাকা করে বলে জানতে পারেন। পরে ভুক্তভোগি মোহাম্মদ হোসেইন কাজির দেউরী মোড়ে কোতুয়ালী থানার টহলরত পুলিশ টিমকে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে স্টেশন রোড থেকে মো. জাহান হোসেন প্রকাশ সুমনকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে হালিশহর এলাকা থেকে জয়নাল আবেদীনকে আটক করা হয়।
কোতয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, তারা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা একত্রিত হয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিনব কায়দায় পথচারীকে বিভিন্ন বিদেশি নোট দেখায়। পথচারীরা উক্ত নোট ভাল করে দেখে বা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের চক্রের সদস্যরা নোটগুলো দামাদামি করতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের চক্রের এক সদস্য নোট ক্রয় করে নেয়, অপর সদস্য আরও বেশি দামে নগদ টাকা দিয়ে ক্রয় করে নেয়। এভাবে তারা পথচারীদের লোভনীয় দৃষ্টি তৈরি করে। একপর্যায়ে পথচারীকে ক্রয় করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। পথচারীরা লোভের মুখে নোট ক্রয় করে ফেলে এবং অবশেষে প্রতারণার শিকার হয়।