ট্রাম্প কি নিজেকে নিজে ক্ষমা করতে পারেন? এ নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যার উল্লেখেযোগ্য অংশটুকু তুলে ধরা হলো-
এই প্রশ্নের কোনো সুনির্দিষ্ট উত্তর নেই। যেহেতু কোনো প্রেসিডেন্ট-এর আগে এমন চেষ্টা করেননি, সুতরাং আদালতগুলোও এ নিয়ে আগে সেভাবে ভেবে দেখেনি। এ বিষয়ে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সাংবিধানিক আইন বিভাগের অধ্যাপক ব্রায়ান কাল্ট বলেন, ‘মানুষ যখন আমাকে জিজ্ঞাসা করে যে, কোনো প্রেসিডেন্ট নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন কি না, আমার উত্তর সর্বদা একটাই থাকে- হ্যাঁ, তিনি চেষ্টা করতেই পারেন। সংবিধানে এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু লেখা নেই।’
অনেক আইনজীবী বলেছেন, নিজেকে নিজে ক্ষমা করাটা হবে সংবিধানবিরোধী, কারণ এটি ‘নিজের মামলায় নিজের বিচারক হওয়া উচিত নয়’ এমন মৌলিক নীতিকে লঙ্ঘন করে। ক্ষমতা ছাড়ার পর নিজের বিচারের সম্ভাবনা দেখতে পেয়ে ট্রাম্প নিজেকে ‘অগ্রিম’ ক্ষমা করে দেয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
কাল্ট বলেন, ‘ক্ষমার বৈধতা সম্পর্কে আদালত রায় দেয়ার জন্য, একজন ফেডারেল প্রসিকিউটরকে কোন অপরাধের জন্য ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করতে হবে। তখন প্রতিরক্ষার জন্য ট্রাম্পকে ক্ষমালাভের বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।’
এমনও হতে পারে প্রেসিডেন্ট নিজেকে দায়মুক্তি না দিতে পারলে একদিনের জন্য ক্ষমতা ছেড়ে দিবেন ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে। তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট তাকে দায়মুক্তি দেবেন। এ সবই জল্পনা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ ঝুঁকি নেবেন কিনা বলা কঠিন। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স তার অনুগত ও বিশ্বাসী। এই ঝুঁকি তিনি নিলেও নিতে পারেন।