ঢাকা আসছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওসলুদুদিনের সফরে । দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সফরে দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে। বুধবার তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেনÑ বুধবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এবং এ নিয়ে পরবর্তীতে যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দুই মন্ত্রী যৌথভাবে একই দিনে ঢাকায় নবনির্মিত তুর্কি দূতাবাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে পারেন। ড. মোমেন চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তুরস্ক সফর করেন এবং আঙ্কারায় নবনির্মিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান সম্প্রতি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির নজর রয়েছে তার দেশের।
সেই সাথে পণ্যে বৈচিত্র্য আনার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি আনতে চায় তারা। আমরা এমন এক বাংলাদেশকে দেখি যার রয়েছে খুব উজ্জ্বল এক ভবিষ্যত। এ দেশের অর্থনীতি আমাদের দেশের মতো দ্রুত বাড়ছে। তুরস্কের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। এ দেশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় প্রণোদনা দিচ্ছে। তুরস্কের একটি বিখ্যাত কোম্পানি চট্টগ্রামে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) খাতে প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। তুরস্ক ও বাংলাদেশের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে দুই দেশের মাঝে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক ও জনগণের সাথে জনগণের সংযোগ সম্প্রসারণ। দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার এবং এ সংখ্যাটিকে বাড়ানোর অপেক্ষায় রয়েছে দুই দেশ। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৫.৪ কোটি ডলার।