অনেক কিছুই করা সম্ভব মানুষের পক্ষে । কিন্তু নিজের স্বপ্নপূরণে সবকিছু করা কি সম্ভব। উত্তরে হয়তো অনেকে বলবেন কিছু কিছু কাজ করা তো সম্ভব। কিন্তু এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে জীবনহানী হতে পারে। তেমনি একটি ঘটনা দেখলো বিশ্ব। প্রযুক্তির স্পাইডারম্যান বাস্তবে হতে গিয়ে সফল হলেন না রেমি লুসিডি। তিনি চেষ্টা করেছেন, কিছু সফলতা পেলেও পুরোপুরি সফল হননি। তার আগেই তাকে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হলো। যার পরিণতি হয়েছে নির্মম মৃত্যু।

রেমি লুসিডি। পেশা এবং নেশা ছিল রুফটপিং অর্থাৎ গগনচুম্বী অট্টালিকার মাথায় মাথায় লাফিয়ে বেড়ানো। ৬০ তলা কিংবা ৭০ তলা স্কাইস্ক্র্যাপার নিমেষে লাফিয়ে পেরিয়ে যেতেন তিনি, সেলফি ক্যামেরায় বন্দি হয়ে যেত সেসব দৃশ্য।

এই অদ্ভুত স্টান্টের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিপুল জনপ্রিয় ছিলেন ৩০ বছরের রেমি। কিন্তু সেই স্টান্টই প্রাণ কাড়ল তার। হংকংয়ের একটি ৬৮ তলা বিল্ডিং থেকে লাফাতে গিয়ে নিচে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তার। খবর দ্য ওয়ালের

জানা গেছে, পড়ে যাওয়ার আগে ট্রেগুন্টার টাওয়ার কমপ্লেক্সে উঠেছিলেন রেমি। তিনি একবারে উপরের তলার পেন্টহাউসের বাইরে আটকা পড়েছিলেন বলে অনুমান, কারণ সেখান থেকে তিনি পাগলের মতো একটি জানালায় ধাক্কা মারছিলেন, যা শুনে চমকে উঠেছিলেন ঘরের ভেতরে থাকা এক নারী।

খবরে বলা হয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তাকে ওই বিল্ডিংয়ে দেখা গিয়েছিল। তিনি গেটে থাকা নিরাপত্তারক্ষীকে জানান, তিনি ৪০ তলায় এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। কিন্তু সেই বন্ধু নাকি জানান, তিনি রেমিকে চেনেন না। এরপরই নিরাপত্তারক্ষী তাকে আটকাতে গিয়ে দেখেন, তিনি ততক্ষণে লিফটে উঠে গেছেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, রেমি ৪৯ তলায় পৌঁছে গেছেন এবং পরে সিঁড়ি দিয়ে বিল্ডিংয়ের একেবারে উপরে উঠছেন। কিন্তু অন্যেরা ছাদে ওঠার পরও তাকে কেউ দেখতে পায়নি বলে জানা গেছে।

রাত সাড়ে ৭টা নাগাদও তিনি জীবিত ছিলেন বলে জানা গেছে, কারণ তখনই পেন্টহাউসের বাইরের জানলায় তিনি ধাক্কা দিচ্ছিলেন। তারপরই ওই নারী পুলিশকে খবর দেন। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই তিনি ভারসাম্য হারিয়ে নিচে পড়ে যান বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থল থেকে রেমির ক্যামেরাটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই ক্যামেরায় তার বিভিন্ন স্টান্টের ভিডিও রয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি পুলিশ।

Share Now
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930