প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে । রবিবার দিনগত গভীর রাতে উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে দু’টি স্পটে পাহাড় ধসে দশটি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দুমড়েমুচড়ে গেছে ঘরগুলো। বাসিন্দারা কোনোরকম প্রাণ নিয়ে বেরুতে পারলেও অধিকাংশ ঘরের সব মালামাল পাহাড় ধসে চাপা পড়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।

এছাড়া উপজেলার রাজানগর, বেতাগীসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

পারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন জানান, ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড জঙ্গল পারুয়া এলাকায় অতি বৃষ্টির কারণে দু’টি স্পটে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে সেমিপাকা, টিন ও মাটির তৈরি দশটি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন সোনাইছড়ি খালের উত্তর অংশে মোহাম্মদ মান্নান, নাছিমা আক্তার, আব্দুল গফুর ও মোহাম্মদ জামাল এবং দক্ষিণ পাড়ে মোহাম্মদ নাছের, মোহাম্মদ পারভেজ, নুরুল ইসলাম, আব্দুল মালেক, আবুল কালাম ও মোহাম্মদ সবুজ। এসব ঘরের বাসিন্দারা প্রাণে রক্ষা পেলেও তারা ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারেনি। এই স্পট ছাড়াও পারুয়ার আরও বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধস হয়েছে।

সার্বিক পরিস্থিতি ভালো নয় উল্লেখ করে পাহাড়ের গায়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে পরিষদের সব ইউপি সদস্যসহ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলের বসবাসরত অন্তত ১০ হাজার বাসিন্দা পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদের নিরাপদে সরে যাওয়ায় জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে বললেও অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশেই বসবাস করে চলেছে। দুর্গত মানুষের জরুরি আশ্রয়ে নিতে নিকটস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সাইক্লোন সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এরপরও তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের।

এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী বলেন, “পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ত্রাণ সহায়তা করা হচ্ছে। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ঈমামদের মাধ্যমে বার বার জানানো হয়েছে এমনকি মাইকিংও করা হচ্ছে। এরপরও যারা পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস অব্যাহত রেখেছে তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।”

Share Now
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930