‘প্রযুক্তির যথেচ্ছ ব্যবহার, মাদকের সহজলভ্যতা বাড়াচ্ছে অপরাধ’

307

একের পর এক খুন হচ্ছে মানুষ। ‘প্রযুক্তির যথেচ্ছ ব্যবহার,  সহজলভ্যতা বাড়াচ্ছে অপরাধ’ । পারিবারিক কলহে স্বামীর হাতে স্ত্রী, স্ত্রীর হাতে স্বামী খুনের শিকার হচ্ছেন। ব্যক্তি স্বার্থ আর দ্বন্দ্বে সহোদর, নিকট আত্মীয়, বন্ধু–বান্ধবকেও খুন করা হচ্ছে। রাজনৈতিক ও সন্ত্রাসী ঘটনায় মানুষ খুন হচ্ছে। প্রতিনিয়তই পত্রিকার পাতা খুললে খুনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকার বা কোনো সংস্থা থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করারও তেমন সুযোগ নেই।’

আসলে পরিস্থিতি এমন, সমাজের সর্বত্র বিরাজ করছে অস্থিরতা। এই অস্থিরতার কারণে জীবনে নেমে আসছে চরম বিপর্যয়। বাড়ছে হতাশা,মানসিক অশান্তি, বাড়ছে কলহ, ব্যক্তিক বা পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং সর্বোপরি বাড়ছে নৈরাজ্য। মানসিক বিষন্নতা ও আর্থিক দৈন্যের কারণে জীবন বিপন্ন হচ্ছে। সমাজবিজ্ঞানী ও অপরাধ বিশ্লেষকরা এই নৈরাজ্যের পেছনে প্রযুক্তির অপব্যবহার ও মাদকের সহজলভ্যতাকে দায়ী করেছেন।

আমরা জানি, বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় পৃথিবীর মানুষও ক্রিয়াশীল সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষ গ্রহণ করছে বিজ্ঞানের বিস্ময়কর উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সাফল্য। বিজ্ঞানের কল্যাণে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। মহাকাশ থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের প্রাত্যহিক হিসাব–নিকাশ–প্রত্যেকটি জায়গায় আধিপত্য বিস্তার করছে প্রযুক্তি। কম্পিউটার, ইন্টারনেটসহ বিজ্ঞান প্রযুক্তির ব্যাপক ও যুগান্তকারী উন্নয়নে ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী ঘটে গেছে বড় ধরনের পরিবর্তন। এতো সব ভালো মঙ্গল দিকের পরও কথা থেকে যায়। সব কিছুরই যেমন ভালো আর খারাপ দিক আছে, তেমনি প্রযুক্তিও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রযুক্তির সহজলভ্য এক মাধ্যমের নাম ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিছু ব্যবহারকারী বা গ্রাহক তথ্য আদান–প্রদানে অসদাচরণের আশ্রয় নিচ্ছে। আবার কেউ কেউ পর্ণোগ্রাফির চিত্রও আদান–প্রদান করছে। যার কারণে খুব সমাজের একটা অংশ এই নেশায় বুদ হচ্ছে এবং ক্রমশ তাদের আসক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রযুক্তির সুব্যবহার করার পরিবর্তে অপব্যবহার ভোক্তা বা গ্রাহককে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করবে। তাই এক্ষেত্রে প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার যাতে হয়, তার দিকে নজর বাড়াতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে ইন্টারনেট এমন এক সংযোগ ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে পুরো বিশ্ব চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। এর সাহায্যে মানুষ উন্নীত হয়েছে এমন এক স্তরে, যেখানে সারা বিশ্বের সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী পরিণত হয়েছে এক সমাজে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্মোচিত হয়েছে নতুন দ্বার। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রে এসেছে এক অভাবনীয় সাফল্য।

অন্যদিকে, তারুণ্যের ভবিষ্যৎকে অসাড়, পঙ্গু ও ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য চলছে ভয়ঙ্কর এক চক্রান্ত। জাতির মেরুদন্ডকে অথর্ব করে দেওয়ার হীন তৎপরতায় নিমজ্জিত আছে এক স্বার্থান্বেষী মহল। তারা ছলে–বলে–কৌশলে তরুণদের একাংশকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে নেশার করাল বলয়ে। ফলে মাদক নেশার মন্ত্রণালয় ধুকছে শত সহস্র প্রাণ। এই ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসার দুঃসাহস আজ হারিয়ে ফেলছে দুর্মর তারুণ্য।

আজ ইয়াবার বিস্তার ঘটেছে ভয়ানক হারে। ফলে প্রধানমন্ত্রীকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে উদ্যোগী হতে হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ প্রদর্শন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক পাচারকারীদের প্রতিরোধের জন্য সরকার যেভাবে তৎপর, সেই তৎপরতা যত আগে নেওয়া যেতো, ততই আমাদের উপকার হতো। নানা সমালোচনা সত্ত্বেও সরকারের মাদক বিরোধী অভিযানকে জনগণ অভিনন্দিত করেছে। কারণ মাদকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার সর্বস্তরের মানুষ শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। এই সমস্যা মোকাবেলায় সরকারের অভিযান ইতিবাচক হিসেবে সাড়া পড়েছে। এই সমস্যা সম্পর্কে সচেতন থেকে আগামী দিনের সুস্থ, সুন্দর, আনন্দ উজ্জ্বল সমাজ জীবন গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের মাদক দ্রব্য ব্যবহারে রোধ করার বাস্তব ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়েও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখা জরুরি যে, মাদকের রাহুগ্রাস থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার দায়িত্ব কেবল সরকারের নয়, দল–মত নির্বিশেষে আমাদের সবার। সবচেয়ে বড় কথা, অবক্ষয় রোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজে শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব সরার। ভ্রাতৃত্ববোধ, বন্ধুত্ব ও পরমতসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি করতে হবে। পারিবারিক বন্ধন যেন আরো সুদৃঢ় হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

। শনিবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একের পর এক খুন হচ্ছে মানুষ। পারিবারিক কলহে স্বামীর হাতে স্ত্রী, স্ত্রীর হাতে স্বামী খুনের শিকার হচ্ছেন। ব্যক্তি স্বার্থ আর দ্বন্দ্বে সহোদর, নিকট আত্মীয়, বন্ধু–বান্ধবকেও খুন করা হচ্ছে। রাজনৈতিক ও সন্ত্রাসী ঘটনায় মানুষ খুন হচ্ছে। প্রতিনিয়তই পত্রিকার পাতা খুললে খুনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকার বা কোনো সংস্থা থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করারও তেমন সুযোগ নেই।’

আসলে পরিস্থিতি এমন, সমাজের সর্বত্র বিরাজ করছে অস্থিরতা। এই অস্থিরতার কারণে জীবনে নেমে আসছে চরম বিপর্যয়। বাড়ছে হতাশা,মানসিক অশান্তি, বাড়ছে কলহ, ব্যক্তিক বা পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং সর্বোপরি বাড়ছে নৈরাজ্য। মানসিক বিষন্নতা ও আর্থিক দৈন্যের কারণে জীবন বিপন্ন হচ্ছে। সমাজবিজ্ঞানী ও অপরাধ বিশ্লেষকরা এই নৈরাজ্যের পেছনে প্রযুক্তির অপব্যবহার ও মাদকের সহজলভ্যতাকে দায়ী করেছেন।

আমরা জানি, বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় পৃথিবীর মানুষও ক্রিয়াশীল সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষ গ্রহণ করছে বিজ্ঞানের বিস্ময়কর উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির সাফল্য। বিজ্ঞানের কল্যাণে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। মহাকাশ থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের প্রাত্যহিক হিসাব–নিকাশ–প্রত্যেকটি জায়গায় আধিপত্য বিস্তার করছে প্রযুক্তি। কম্পিউটার, ইন্টারনেটসহ বিজ্ঞান প্রযুক্তির ব্যাপক ও যুগান্তকারী উন্নয়নে ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী ঘটে গেছে বড় ধরনের পরিবর্তন। এতো সব ভালো মঙ্গল দিকের পরও কথা থেকে যায়। সব কিছুরই যেমন ভালো আর খারাপ দিক আছে, তেমনি প্রযুক্তিও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রযুক্তির সহজলভ্য এক মাধ্যমের নাম ইন্টারনেট। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিছু ব্যবহারকারী বা গ্রাহক তথ্য আদান–প্রদানে অসদাচরণের আশ্রয় নিচ্ছে। আবার কেউ কেউ পর্ণোগ্রাফির চিত্রও আদান–প্রদান করছে। যার কারণে খুব সমাজের একটা অংশ এই নেশায় বুদ হচ্ছে এবং ক্রমশ তাদের আসক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রযুক্তির সুব্যবহার করার পরিবর্তে অপব্যবহার ভোক্তা বা গ্রাহককে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করবে। তাই এক্ষেত্রে প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার যাতে হয়, তার দিকে নজর বাড়াতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে ইন্টারনেট এমন এক সংযোগ ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে পুরো বিশ্ব চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। এর সাহায্যে মানুষ উন্নীত হয়েছে এমন এক স্তরে, যেখানে সারা বিশ্বের সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী পরিণত হয়েছে এক সমাজে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্মোচিত হয়েছে নতুন দ্বার। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রে এসেছে এক অভাবনীয় সাফল্য।

অন্যদিকে, তারুণ্যের ভবিষ্যৎকে অসাড়, পঙ্গু ও ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য চলছে ভয়ঙ্কর এক চক্রান্ত। জাতির মেরুদন্ডকে অথর্ব করে দেওয়ার হীন তৎপরতায় নিমজ্জিত আছে এক স্বার্থান্বেষী মহল। তারা ছলে–বলে–কৌশলে তরুণদের একাংশকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে নেশার করাল বলয়ে। ফলে মাদক নেশার মন্ত্রণালয় ধুকছে শত সহস্র প্রাণ। এই ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসার দুঃসাহস আজ হারিয়ে ফেলছে দুর্মর তারুণ্য।

আজ ইয়াবার বিস্তার ঘটেছে ভয়ানক হারে। ফলে প্রধানমন্ত্রীকে কঠোর ভূমিকা পালন করতে উদ্যোগী হতে হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ প্রদর্শন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক পাচারকারীদের প্রতিরোধের জন্য সরকার যেভাবে তৎপর, সেই তৎপরতা যত আগে নেওয়া যেতো, ততই আমাদের উপকার হতো। নানা সমালোচনা সত্ত্বেও সরকারের মাদক বিরোধী অভিযানকে জনগণ অভিনন্দিত করেছে। কারণ মাদকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার সর্বস্তরের মানুষ শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। এই সমস্যা মোকাবেলায় সরকারের অভিযান ইতিবাচক হিসেবে সাড়া পড়েছে। এই সমস্যা সম্পর্কে সচেতন থেকে আগামী দিনের সুস্থ, সুন্দর, আনন্দ উজ্জ্বল সমাজ জীবন গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের মাদক দ্রব্য ব্যবহারে রোধ করার বাস্তব ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়েও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখা জরুরি যে, মাদকের রাহুগ্রাস থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করার দায়িত্ব কেবল সরকারের নয়, দল–মত নির্বিশেষে আমাদের সবার। সবচেয়ে বড় কথা, অবক্ষয় রোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজে শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব সরার। ভ্রাতৃত্ববোধ, বন্ধুত্ব ও পরমতসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি করতে হবে। পারিবারিক বন্ধন যেন আরো সুদৃঢ় হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।