‘মারবো না,একে ছাড়বো ।’ মোবাশ্বার হাসান সিজারের অপহরণকারীরা বাহাস করতো এ নিয়ে। সিজারকে গতরাতে বিমানবন্দর এলাকায় নামিয়ে দেয়ার সময়ও তাকে হুমকি দিয়ে তারা বলে, পেছনে তাকালেই মেরে ফেলবো। এর আগের প্রায় দেড় মাস অন্ধকার একটি ঘরে আটকে রাখা হয় তাকে। আজ সকালে নিজ বাসার নিচে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান সিজার। তিনি বলেন ‘কিছুদিন ধরে অপহরণকারীদের মধ্য বাগ্বিতণ্ডা চলছিল। একে ছাড়বো, না মেরে ফেলব- এ রকম কথাবার্তা হচ্ছিল।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সিজার বলেন, ‘অনেক দিন পর দিনের আলো দেখলাম।’ এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার বাবা মোতাহের হোসেন, তার বোন ও চাচা। কথা বলতে গিয়ে প্রায়ই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন সিজার।
তিনি গণমাধ্যমকর্মী, বন্ধুবান্ধব ও শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সিজার জানান, যে ঘরটিতে এত দিন বন্দী ছিলেন সেখানে একটি জানালা ছিল। কিন্তু সেটি সিল করে বন্ধ করে দেওয়া। ফলে ঘর অন্ধকার থাকত। ময়লা তোশক ছিল। সেখানেই ঘুমাতেন। পাশেই আরেকটা ঘর ছিল। সেখান থেকে অন্য মানুষের কথাবার্তা শুনতে পেতেন তিনি। তাকে খেতে দেয়া হতো হোটেলের ঠান্ডা খাবার।
ছেলেকে ফিরে পেয়ে সিজারের বাবা মোতাহার হোসেন বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে আমরা নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। আমরা খুব খুশি।’
সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের দেয়া সিজারের বক্তব্যের ভিডিওটি এখানে দেয়া হলো: [ভিডিও সূত্র যমুনা টিভি]