চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বেজিং এবং ওয়াশিংটনকে সংলাপে ফিরে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের “আমেরিকা প্রথমে” নীতিমালার তীব্র সমালোচনা করতে গিয়ে।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ওয়াং শুক্রবার নিউ ইয়র্কের এশিয়া সোসাইটির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভিডিও ভাষণে বলেন, “আশা করি আমরা সংলাপের মাধ্যমে সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলবো এবং মতপার্থক্যগুলো দূর করবো। চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্দেশ্যমূলক হওয়া এবং স্থায়িত্বে ফিরে আসা জরুরি।”
তার এই মন্তব্যটি ৩রা নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয়ের পর চীনা কোনো সরকারি কর্মকর্তার মার্কিন-চীন সম্পর্কের বিষয়ে সর্বাধিক বিস্তারিত বক্তব্য। এই বক্তব্য বাইডেন জানুয়ারিতে অফিস গ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়ার প্রাক্কালে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দেয়।
ওয়াং সম্পর্কোন্নয়নের জন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেন- মার্কিন রাজনীতিবিদদের চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচনা বন্ধ করা এবং জিনজিয়াং এবং তিব্বতে দেশটির স্বার্থকে সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানান, যেসব জায়গায় বেজিংয়ের নীতিগুলো আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনার শিকার। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং করোনাভাইরাস মহামারী প্রতিক্রিয়াকেও সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র হিসেবে ইঙ্গিত দেন।
প্রসঙ্গত, ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্র-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি হয়। করোনাভাইরাস মহামারি, বাণিজ্য যুদ্ধ, হংকং ইত্যাদি বিভিন্ন ইস্যুতে বিশ্বের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কয়েক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বাইডেন বিজয়ী হওয়ার পর প্রথমদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাইডেনকে অভিনন্দন জানালেও প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ছিলেন নিশ্চুপ। কিন্তু ২৫ নভেম্বর নীরবতা ভেঙে বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়ে শি বলেন, ‘বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনীতির দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক কেবল দেশ দুটির জনগণের মৌলিক স্বার্থের জন্যই কাম্য নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এটাই আশা করে।’
জবাবে বাইডেনের ক্ষমতা হস্তান্তর টিমের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট শি ও অন্য বিশ্বনেতা, যারা শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই।’।