হাইকোর্ট জনগণের ভোটে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা (ইউএনও) কীভাবে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অস্থায়ী কমিটির সভাপতি হন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন । আগামী ১০ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আদালতের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। অপরদিকে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট হাসান এম.এস আজিম। পরে তারা মানবজমিনকে বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকে বাদ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা (ইউএনও) কীভাবে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অস্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং তাদের এই সভাপতি হওয়া কেন অবৈধ হবেনা হন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে পটোয়াখালীর দুমকী, নরসিন্দীর মনোহরদী, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, গাজীপুর সদর ও কালিয়াকৈরের উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইসচেয়ারম্যানরা হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।