কোতোয়ালী থানা পুলিশ চট্টগ্রামের পুরাতন রেলস্টেশন এলাকার বাগদাদ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের গলি, নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০২ টি মোবাইলসহ মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারী এবং চোরাই মোবাইল বিক্রির সঙ্গে জড়িত মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করে । বুধবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথমে মো. ফজলুল করিম (৩৫) ও মো. শাহ আলমকে (৩০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার কোতোয়ালী থানায় এই মোবাইল ছিনতাই ও বিক্রয়চক্রের গ্রেপ্তার ও মোবাইল উদ্ধারের বিষয়টি কোতোয়ালী থানায় ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হয়। ব্রিফিং এ বলা হয়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ফজলুল ও শাহ আলম কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেও কাছ থেকে মোবাইল পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে বাকি আসামীদের খবর জানা যায়। মোবাইল সেটগুলো বিভিন্ন ছিনতাইকারী ও অপরাধীচকক্রের কাছ থেকে তারা কিনে আবার বেশি দামে বিক্রি করে তারা । বাগদাদ হোটেলের গলিতেই তারা ভাসমান দোকান বসিয়ে সেগুলো বিক্রি করে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন জানান, দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে মোবাইল চুরি, ছিনতাই ও চোরাই মোবাইলগুলো বিক্রির সাথে জড়িত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দুই শতাধিক মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। এরাই বাসা বাড়ি থেকে, ভিড়ে প্যান্টের পকেট থেকে, গাড়ির জানালা থেকে ছোঁ মেরে এসব মোবাইল চুরি ও ছিনতাই করেছে।’ কোতোয়ালী এলাকায় চুরি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ১২টি গ্রুপ এবং চোরাই মোবাইল বিক্রির সঙ্গে জড়িত আছে ৫০ জন ব্যবসায়ী। তাদের অনেকের নাম আমরা পেয়েছি। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, ‘ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে রয়েছে রাব্বি, বাদশা, হোসেন, আলী, বস লিটন, আজমের নেতৃত্বে ১২টি গ্রুপ। তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে।’
প্রেস ব্রিফিংয়ে সিএমপির সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গ্রেফতার ১১ জন হলেন- মো. ফজলুল করিম (৩৫), মো. শাহ আলম (৩০), মহিউদ্দিন (২৭), ইয়াকুব হোসেন সাইমুন (১৯), রাজিব হোসেন (২৭), মো. সাজ্জাদ (২২), মিজানুর রহমান রাকিব (২০), মো. শাহাদাত (২২), শাকিল (২৪), দুলাল (২০) এবং রবিন (২৩) আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাতের বেলায় অস্ত্র দেখিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করা মোবাইল রেলস্টেশন এলাকায় বিক্রি করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।