নাটকীয়ভাবে বাংলাদেশের কাছে হেরে যাবার পর কেউ কেউ কেঁদেছেন।কাল ৩০ হাজার শ্রীলঙ্কান মন খারাপ করে ঘরে ফিরেছেন। ঘরের মাঠের টুর্নামেন্ট, অথচ ফাইনালে তারা নেই, এটা মানতেই পারছেন না শ্রীলঙ্কান দর্শকরা। এদিকে দারুণ জয়ের পরেও বাংলাদেশ দলকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এমনিতে নো বল নিয়ে অনেক বেশি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সাকিবরা। তারপর আবার পেমাদাসার যে ড্রেসিং রুমে ব্যবহার করেছিল বাংলাদেশ দল, তার দরজা ভাঙা পাওয়া গেছে। তবে আসল ঘটনা হলো, ভাঙচুর নয়, অসাবধানতাবশত ভেঙে গেছে।
এ নিয়ে শ্রীলঙ্কান পত্র প্রত্রিকা ও ক্রিকনইফো রিপোর্ট করেছে।ওই রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জয়সূচক ছ্ক্কা মারার পর ড্রেসিং রুমে বা ড্রেসিংরুমেরে সামনে উল্লাস করতে গিয়ে কাচের দরজা ভাঙার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড ফুটেজ দেখেছেন এবং ওখানকার কিছু ক্যাটারিং স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা কয়েকজনের খেলোয়াড়ের নাম বলেছেন ক্রিস ব্রডের কাছে। তবে তাদের কথায় নির্ভর করতে চাচ্ছেন না ব্রড। তিনি আরো ফুটেজ চেয়েছেন যেটা বাইরে থেকে ভিতরে দেখা যায়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। আইসিসি আজ এ ব্যাপারে বিবৃতি দিতে পারে।
মনে করা হচ্ছে, বেশি মাত্রায় উচ্ছ্বাস দেখাতে গিয়ে কেউ এটা করে ফেলতে পারে। বাংলাদেশ দলের একটি সূত্রও বলছে এ কথা। ইচ্ছাকৃত ঘটনাটি ঘটেনি। আনন্দ করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবেই এটা ঘটেছে। আর এটা নাকি লুকাতে চাচ্ছে না বাংলাদেশ।
এদিকে নো বল ইস্যুতে মাঠে গিয়ে অতিরিক্ত খেলোয়াড় সোহানের শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড়দের সঙ্গে তর্কে জুড়িয়ে পড়ার ঘটনা বিব্রতকর পরিস্থির সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ দলের জন্য। একজন অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের মাঠে ঠুকে খেলোয়াড়দের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়াটা যেমন শোভনীয় নয়, তেমনি আইনসিদ্ধও নয়।
গতরাতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে গেলেও এ ঘটনাগুলো বাংলাদেশ দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফিলে দিয়েছে।
