অফিসগামীদের ভোররাত থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি আটকে দিয়েছে। আকাশের বিজলি আর মুষলধারে বৃষ্টি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই কবিতার কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। ওরে আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে। কিন্তু তা কি হয়। টানা ঈদ ছুটি শেষে অফিস আর স্কুল সবই খুলেছে। তবে আজ সকালের টানা বৃষ্টি আটকে দিয়েছে সবকিছু। চারপাশে জলজটে থেমে গেছে পুরো শহর। বৃষ্টির তোড়ে রাস্তার দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশও সরে গেছে। তাতে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
ব্যাংক কর্মকর্তা মাহিম বৃষ্টি দেখে একটু আগেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছেন। ড্রাইভার আসতে পারেনি তাই স্টিয়ারিং-এ নিজেই হাত ধরেছেন। একটু আগে বেরিয়েছেন যেন সময়মতো অফিস যেতে পারেন। তাতেও বাধ সেধেছে সড়ক। টিকাটুলি থেকে কারওয়ানবাজার আসতে মাহিমের লেগেছে পাক্কা দুই ঘন্ট। মাঝখানের সকল রাস্তাই তলিয়ে গেছে বৃষ্টিতে। টিকাটুলি, মতিঝিল অফিস পাড়া, বিজয়নগর, পল্টন, কাকরাইল, মালিবাগ, সোনারগাঁও মোড় এলাকা, মগবাজার সবখানে রাস্তায় হাঁটু পানি জমে গেছে। ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর এলাকার চিত্রও একইরকম। মতিঝিলে দীর্ঘসময় অপেক্ষার পরও গাড়ি না পেয়ে ভ্যানে করে রওয়ানা হয়েছেন ফারুক হোসেন। ছাপাখানার এই কর্মী তার কাজের জন্য যাবেন মোহাম্মদপুর। দশটার অফিস ক’টায় পৌঁছাবেন তা আল্লাহ মালুম। ধানমন্ডি ২৮ নম্বরের বাসিন্দা এম এইচ খোকন বসে আছেন গুলশান যাবেন। কিন্তু নিজ গাড়ি না নিয়ে খুঁজছেন ওবার। বৃষ্টি বলেই ঝুঁকি নিতে চান না তিনি। ডিজিটাল কারসাজিতে ওবারও জুটছে না বলে বিরক্ত। স্কুলগামী অনেক শিশুই তৈরি হয়েও যেতে না পেরে বাসাতেই ফিরে এসেছে। তীব্র দুর্ভোগের স্বীকার চাকরিজীবীদের অনুযোগ কবে এই শহর ঠিক হবে। বৃষ্টিতে রাস্তা ডুববে না, স্বচ্ছন্দে গাড়ি করে যাওয়া যাবে অফিস।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
