চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও সেনাবাহিনীর যৌথ দল নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত প্রকল্পের অংশ হিসেবে টেকপাড়া খালের পাড়ে গড়ে উঠা আরো ২৮ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে । এতে নেতৃত্বে দেন সিডিএ’র বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল আলম। এ খালের পাড়ে মোট অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা ৪৬টি বলে জানিয়েছে সিডিএ কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার সকালে ফিশারিঘাটের টেকপাড়া খালে এ অভিযান শুরু হয়। চলে বিকেল পর্যন্ত। পুরো অভিযানে ১টি দুইতলা ও ১টি চারতলা ভবন উচ্ছেদ করা হয়।
এদিকে গতকাল টেকপাড়া খাল এলাকায় অভিযানের এক পর্যায়ে স্থানীয়রা বাধা দেয়। এতে কিছু সময়ের জন্য অভিযান থমকে দাঁড়ায়। এ অবস্থায় অভিযান দলের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য ওই এলাকায় আসে সেনাবাহিনীর একটি দল। এরপর বাধাদানকারীদের ধাওয়া করা হয়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসলে উচ্ছেদ কার্যক্রম আবার শুরু করা হয় বলে জানিয়েছেন অভিযানের সময় দায়িত্বপালনকারী সিডিএ’র প্রকৗশলী কাজি কাদের নেওয়াজ। প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আহমেদ মাঈনুদ্দিন প্রকল্পের কাজে ঢাকায় থাকায় তার দায়িত্ব পালন করেন কাজী কাদের নেওয়াজ।
অন্যদিকে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর এক পর্যায়ে বিল্ডিং ভাঙার সময় উল্টে যায় উচ্ছেদ কাজের জন্য আনা বুলডোজার। এতে দুইজন আহতও হয়েছেন। পরে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে দেখা গেছে। অভিযানের দ্বিতীয় পর্যায়ে মরিয়ম খালের পাড়েও অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন কাজী কাদের নেওয়াজ।
কোরবানির ঈদের পর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া প্রথম অভিযানে মহেশখালের ওপর গড়ে ওঠা ৮১টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ১৪টি পাকা, ১৮টি সেমিপাকা, টিনশেড ৩২টি, কাঁচা ঘর ১১টি, বাউন্ডারি ওয়াল ছিলো ৬টি।
প্রসঙ্গত: ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়। ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে এ উচ্ছেদ অভিযান চলছে বলে জানালেন প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন। x
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
