শুনানিতে বেগম জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান বলেন, ‘এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন।  জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে চতুর্থ দিনের মতো যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়েছে। তাই এ মামলা থেকে তার খালাস চাই।’ তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার জীবনে এ মামলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুদক কেন এ মামলা বেছে নিলো, দুদকের কাছে এর কোন জবাব নাই। দুনিয়ার মামলা রয়েছে কিন্তু উনিশ বছর পর দুদক এ মামলা নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করলো। ভালোভাবেই দৌড়ঝাঁপ করতে পারতো।

 তিনি বলেন, এই মামলার অনুসন্ধান করলেন দুদকের একজন সিনিয়র অফিসার। সেটার তদারকী করলেন একজন সুপিরিয়র অফিসার। দুদকের তরফ থেকে অবশ্যই কৈফিয়ত আসা উচিত ছিল।
তিনি আরো বলেন, এই টাকা আকাশে ভাসতে ভাসতে আসে নাই। অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা আছে, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী (প্রয়াত) মোস্তাফিজুর রহমানের মাধ্যমে এই টাকা এসেছে। সাক্ষীরাও এ কথা বলেছেন। বেগম জিয়ার ক্ষমতা অপব্যবহার করে এ অর্থ আসার কোন প্রমাণ নেই। মামলার কোন স্বাক্ষীও এমন কিছু বলে নি। আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানির তৃতীয় দিনে আব্দুর রেজ্জাক খান তার শুনানি শেষ করেন। এরপর শেষে শুনানি করেন খালেদার অপর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, আমরা যাই বলি না কেন, স্বাক্ষ্যপ্রামাণে যাই থাকুক না কেন,এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা।
এর আগে আজ সকাল সোয়া ১১টায় বকশিবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিশেষ জজ আখতারুজ্জামানের আদালতে পৌছাঁন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আগামীকাল খালেদার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানির চতুর্থ দিনে শুনানি করবেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন।
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বেগম জিয়া ছাড়া অপর তিন আসামী হলেন হারিস চৌধুরি, বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগারে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং মনিরুল ইসলাম খান।মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বাকি আসামিরা হলেন, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
২০০৮ সালের ৩রা জুলাই রমনা থানায় অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। আর ২০১০ সালের ৮ই আগস্ট তেজগাঁও থানায় দায়ের করা হয় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা।
Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031