অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ধর্ষণ মামলার আসামি মামুন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরসহ সাধারণ ছাত্র পরিষদের ছয় নেতাকে অতিদ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অনশনে বসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থী ৷

বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা অনশনে থেকে শুক্রবার রাতে দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। রাতে তাকে হাসপাতালে নেয়ার কথা বললেও তিনি যেতে রাজি হননি।

ওই ছাত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানান, অনশনের কারণে শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন৷ কিন্তু আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত অনশন ভাঙবেন না৷

পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ডা. শেখ মো. আল আমিনের নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক টিম সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এখন তাকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন এই শিক্ষার্থী। শনিবারও অনশন অব্যাহত রেখেছেন তিনি।

অনশনের শুরুতে এই ছাত্রী বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি দীর্ঘদিন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এরই মধ্যে মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করা হলেও নুর-মামুনদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তারা দিব্যি ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ নাকি তাদের খুঁজে পাচ্ছে না। প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কি তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? নাকি জনপ্রিয়তা আছে বলে তাদের ছাড় দেয়া হচ্ছে। আসামিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমি আমার অনশন চালিয়ে যাবো।’

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর লালবাগ থানায় মামুনকে প্রধান আসামি করে ছাত্র অধিকার পরিষদের ছয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজধানীর লালবাগ থানায় ধর্ষণের মামলা করেন ওই ছাত্রী। এই মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে ধর্ষণে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এরপর গত ২১ সেপ্টেম্বর একই আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা এবং হেয় প্রতিপন্ন করতে ডিজিটাল মাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগ কোতোয়ালী থানায় আরেকটি মামলা করেন ওই ছাত্রী।

উভয় মামলার আসামিরা হলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, একই সংগঠনের অব্যাহতিপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর , বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি নাজমুল হুদা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল কাফি।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031