বাংলাদেশ থেকে প্রথম ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। জুলাইয়ে ঢাকায় হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলায় জড়িত ৫ জঙ্গিকে ধারণ করা হয়েছে ওই ভিডিওতে। জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর নজরদারি করা মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের ওয়েবসাইটে এ খবর দেয়া হয়েছে। ‘আইএস রিলিজেস ফার্স্ট ভিডিও ফ্রম বাংলাদেশ, ফোকাসেস অন ঢাকা এটাকার্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। এ বিষয়ে সাইট ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক রিটা কাটজ টুইটে লিখেছেন, বাংলাদেশ থেকে আসা এই ভিডিও আইসিসের। এর মধ্য দিয়ে সেখানে থাকা এ গ্রুপটির প্রথম ‘প্রডাকশন‘ এটা। এতে ঢাকা হামলাকে ফোকাস করা হয়েছে। তবে ওই ভিডিওটি এখনও হাতে পাওয়া যায় নি। মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এ সংক্রান্ত ঘোষণাটি শুক্রবার মধ্যরাতের সামান্য আগে পোস্ট করা হয় টুইটে। এর ৫ ঘন্টা আগে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ আরেকটি টুইট করে। এতে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারী ৫ জঙ্গির বক্তব্য রয়েছে। তাদেরকে ওই ভিডিওটিতে বক্তব্য রাখতে দেখা যায় বলে মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে। ১লা জুলাই হলি আর্টিজানে হামলা চালানো এ জঙ্গিরা হলো নিবরাস ইসলাম, রোহান ইমতিয়াজ, মেহের মুবাশ্বের, খাইরুল ইসলাম পায়েল ও শাফিকুল ইসলাম উজ্বল। ভিডিওতে যেহেতু তাদেরকে বক্তব্য দিতে দেখা যাচ্ছে তাই ধরে নেয়া যায় যে, হলি আর্টিজানে হামলা চালানোর আগে ধারণ করা হয়েছিল এ ভিডিও। এই ভিডিওতে তারা হুমকি দিচ্ছিল। বলছিল, যাদেরকে তারা ইসলামের শত্রু মনে করবে তিনি যে-ই হোন না কেন তাকে তারা টার্গেট করবে। সন্ত্রাস বিষয়ক বিশ্লেষক মাইকেল এস স্মিথ দ্বিতীয় মনে করেন ভিডিওতে দেখানো যুবকরা হলি আর্টিজান হামলায় জড়িত বলেই মনে হয়। তবে তিনি আরও বলেছেন, নতুন এই ভিডিও নিয়ে আমরা আরও বিশ্লেষণ করছি। ওদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান মিডিয়াকে বলেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। বিবিসির খবরে জুলাই মাসে বলা হয়েছিল, জুলাইয়ে ঢাকার অভিজাত গুলশান এলাকায় ওই রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা সবাইকে জিম্মি করে ২০ জনকে হত্যা করে। এর মধ্যে বেশির ভাগই বিদেশী। এ দায় স্বীকার করে আইএস। সফল অভিযানে এ অবস্থার ইতি ঘটে। কিন্তু ততক্ষণে জঙ্গিরা হত্যা করে ২০ জনকে। এর মধ্যে ৯ জন ইতালির নাগরিক। ৭ জন জাপানি। একজন মার্কিনি। একজন ভারতীয়। অভিযানে ৬ হামলাকারীকে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় একজনকে। এ নৃশংস হামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেন।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
