‘সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমে সফল হতেই হবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন । কারণ এর ওপর নির্ভর করছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাস্তবায়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন।’
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা আয়োজিত সরকারি আইনি সেবা ও সুশাসন শক্তিশালীকরণ বিষয়ক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সব সদস্যের সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে আরও কার্যকর করতে হবে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘সরকার দেশের সামাজিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চায়। সরকারের এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে, একসেস টু জাস্টিস বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। কারণ উন্নয়ন ও আইনের শাসন ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের একসেস টু জাস্টিস নিশ্চিত করতে হবে ২০৩০ সালের মধ্যেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আদালতগুলোতে বিদ্যমান মামলাজট হ্রাস করতে লিগ্যাল এইড অফিসগুলো যাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের পাশাপাশি দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৮৯(এ) ধারায় সংশোধনী এনেছে। ফলে লিগ্যাল এইড অফিসগুলোতে অসহায়, দরিদ্র ও দুস্থ জনগণকে আইনি সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি পক্ষগণের মধ্যে থাকা বিরোধসমূহ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বা এডিআর পদ্ধতিতে প্রি-কেইস ও পোস্ট-কেইস মেডিয়েশনের মাধ্যমে নিষ্পত্তির সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে আমাদের লিগ্যাল এইড অফিসগুলোতে এডিআর পদ্ধতিতে ১৯ হাজার ১৮টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এডিআর পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তির এই পরিমাণ আমাদের অবশ্যই বাড়াতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন আইন সচিব মো. গোলাম সাওয়ার। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এ. এইচ. এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ ভ্যান নগুয়েন বক্তৃতা করেন।
