আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন আছে এবং সেখানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে এ পদ্ধতিতে মুক্তির জন্য কোথায় কিভাবে দরখাস্ত করতে হবে। তিনি বলেন, প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি প্রফেশনাল করতে গেলে আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে। তাই প্যারোলে মুক্তির দরখাস্ত এবং সব নিয়মকানুন মানার পরেই সরকার এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত দরখাস্ত বা এরকম কিছু পাওয়া যাবে না ততক্ষণ হাওয়ার ওপরে কথা বললে হবে না। রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ সংস্থাসমূহের জন্য প্রণীত আইন বিষয়ক ম্যানুয়ালের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নট ফর প্রফিট ল এর উদ্যোগে অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও সঞ্চালক ছিলেন শারমিন খান।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, সুশীল সমাজ প্রত্যকটি মানুষের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, সুশীল সমাজের অধিকারের সঙ্গে যুক্ত নয়। সুশীল সমাজ আইন ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে বেশি সক্রিয় হয়ে থাকে। সাধারণ মানুষের মধ্যে নাগরিক মনোভাব গঠন এবং তা টিকিয়ে রাখার দায়িত্বও রয়েছে এ সমাজের।
আনিসুল হক বলেন, অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও সুশীল সমাজ নাগরিকগণের উদ্বেগ, অগ্রাধিকার এবং সুযোগ সুবিধার কথা সরকারের কাছে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
