বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে ভোটার ও জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেলেও প্রশাসনের দমন নীতির কারণে নির্বাচনী এলাকায় একধরনের ভীতি এবং অজানা আশঙ্কা বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ।
গাজীপুরে জামায়াতের মেয়র প্রার্থী ও গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা এস এম সানাউল্লাহ, যিনি ইতোমধ্যে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন তাকেসহ ৪৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল।
শনিবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করার পর দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। এ পর্যন্ত তাদের অধীনে যতগুলো স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সবগুলোতেই তারা অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে সহিংসতার প্রতাপ বিস্তার করেছে। ভোটের পূর্বের রাতে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, জাল ভোট প্রদান এবং বিরোধী প্রার্থীর এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বিতাড়িত করাসহ জনগণকে ভয় দেখিয়ে আওয়ামী প্রার্থীদের বিজয়ী করার ঘটনা আওয়ামী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।’
ফখরুল বলেন, ‘আসন্ন গাজীপুর এবং খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও অতীতের মতোই সন্ত্রাসী লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। গাজীপুরে ধানের শীষের প্রার্থীর ব্যাপক বিজয় টের পেয়েই সরকারের মদদে পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দৌরাত্মের শিকার হয়ে ধানের শীষের প্রার্থী ও সমর্থকরা নানাভাবে নাজেহাল হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে দূরভিসন্ধিমূলক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গতকাল গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহারকারী ও ধানের শীষের প্রার্থীকে সমর্থনকারী জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহসহ ৪৫ জন নেতাকর্মীকে বিনা উস্কানিতে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গাজীপুর জেলা পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নির্দেশেই ধানের শীষের প্রার্থী ও সমর্থকরা জুলুম ও গ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছে। জামায়াত নেতা এস এম সানাউল্লাহসহ ৪৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের এই ঘটনা নিঃসন্দেহে আগামী গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সুদূরপ্রসারী অশুভ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ।’
ফখরুল বলেন, ‘আমি এই ন্যাক্কারজনক গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গাজীপুরসহ খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।’
