তুমুল যুদ্ধের পর আর্মেনীয় মিলিশিয়াদের কাছ বিতর্কিত নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শুসা দখল করে নিয়েছে আজারবাইজানের সেনারা । রবিবার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এই দাবি করেছেন। খবর আল জাজিরা।

দেশটির টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘আনন্দ ও গর্ব নিয়ে আমি আপনাদের জানাতে চাই যে কারাবাখের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আমরা দখল করতে সমর্থ হয়েছি।’

যদিও এই দাবি মিথ্যা বলে অবহিত করে আর্মেনিয়া সরকার বলছে, ‘শহরটিতে দুপক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে।’

প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ আরও বলেন, ‘৮ নভেম্বর তারিখটি আজারবাইজানের ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। কারণ এইদিনে আমরা শুসা দখল করেছি।’

নাগার্নো কারাবাখের বৃহত্তম শহর স্টেপেনাকাট থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত শুসা শহর। শহরটি উভয় পক্ষের জন্য সাংস্কৃতিক ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

গেল এক মাসের বেশি সময় ধরে নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে। রাশিয়ার দাবি এই যুদ্ধে পাচঁ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তিনবার যুদ্ধবিরতি হলেও নানা অজুহাতে মানেনি কোন দেশই।

১৯৯১ সালের আগে পর্যন্ত আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান, দুটি দেশই ছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর দুটি স্বাধীন দেশ হিসেবে তারা আলাদা হয়।

আন্তর্জাতিকভাবে নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু ১৯৯০ এর দশকে সেখানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে আর্মেনিয়া। দখলীকৃত এলাকা থেকে বহু আজারি নাগরিককে বিতাড়িত করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031