আজ মঙ্গলবার রাজধানীর হাতিরঝিলে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএর ভবনটি ভাঙতে এক বছর সময় চেয়ে আবেদনের ওপর আদেশ হবে ।

গত রবিবার এই সময় আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। এরপর আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ।

আদালতে বিজিএমইএর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। রিটের পক্ষে ছিলেন মঞ্জিল মরসেদ।

গত বছরের ৮ এপ্রিল বিজিএমইএর বহুতল ভবনটি ভাঙতে সাত মাস সময় দেয় আপিল বিভাগ। আর গত ৫ মার্চ বহুতল ভবনটি ভাঙতে আরো এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।

এই ভবনটি বেআইনিভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে-এমন অভিযোগের প্রমাণ মেলার পর ২০১১ সালে ভবনটি ভাঙার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর ছয় বছরের আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৭ সালে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখে আপিল বিভাগ।

এরপর রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএর ভবন নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। সেখানে ভবন নির্মাণের কাজ শুরুও হয়েছে। আর এই ভবন নির্মাণ শেষ না হওয়া অবধি হাতিরঝিলের ভবনটি ব্যবহার করতে চায় পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠনটি।

আপিল বিভাগে এই ভবন ভাঙার বিষয়ে আদেশের বিরুদ্ধে বিজিএমইএর লিভ টু আপিল খারিজ হয়ে যায় ২০১৬ সালের ২ জুন। ওই বছরের ৮ নভেম্বর রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের পূর্ব পাশে অবস্থিত বিজিএমইএর ১৬ তলা ভবনটি অবিলম্বে সংগঠনের নিজ খরচায় ভেঙে ফেলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে ৮ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন করে বিজিএমইএ। কিন্তু সেই আবেদনও খারিজ হয়ে যায়। ফলে ভবনটি ভাঙা ছাড়া আর কোনা উপায় নেই।

এর আগে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়। ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে বিজিএমইএ ভবন একটি ক্যান্সারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। এই আবেদন খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বেগুনবাড়ি খাল ও হাতিরঝিল জলাভূমিতে অবস্থিত বিজিএমইএ কমপ্লেক্স নামের ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙার নির্দেশ দেয়া হয়। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ভবন ভাঙার খরচ আবেদনকারীর (বিজিএমইএ) কাছ থেকে আদায় করবে তারা।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031