অ্যাওয়ার্ড জিতলো বাংলাদেশি পরিচালক অনুপম হোর ও তাহসিন আহমেদ পরিচালিত ‘দ্যা কোনানড্রাম’ চলচ্চিত্রটি। এছাড়া ‘ইউল্যাব ইয়াং ফিল্মমেকার’অ্যাওয়ার্ডওজিতে নেয় আরেক বাংলাদেশি পরিচালক মেহেরুন নেসা পরিচালিত ‘অল উইনারস’ চলচ্চিত্রটি ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের ষষ্ঠ আসরে ‘কম্পিটিশন’ বিভাগে ‘সিনেমাস্কোপ বেস্ট ফিল্ম’ ।
২৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সীমান্ত সম্ভারের স্টার সিনেপ্লেক্সে ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের শেষ দিনে এই অ্যাওয়ার্ডঘোষণা করা হয়।
সিনেমাস্কোপ বেস্ট ফিল্ম’ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তনির্মাতা অনুপম হোর এবং তাহসিন আহমেদ দুজনই চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্য বিভাগে পড়াশোনা করছেন। ‘দ্যা কোনানড্রাম’ চলচ্চিত্রটিতে অনুপম গল্প ও চিত্রনাট্য লেখার পাশাপাশি পরিচালনাও করেছেন। লেখক ও সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও ধীরে ধীরে আর্ট ফিল্ম ঘরানার চলচ্চিত্র নির্মাণের দিকে ঝুঁকে পড়েন তিনি। অন্যদিকে ফটোগ্রাফির সাথে যুক্ত থাকার কারণে তাহসিন সিনেমাটোগ্রাফি এবং এডিটিং এ পারদর্শী। ‘দ্যা কোনানড্রাম’ তাহসিন আহমেদ পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র যেখানে তার সহ পরিচালক হিসেবে রয়েছেন অনুপম । প্রতিযোগিতা বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রকার হিসেবে ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব থেকে তারা জিতে নেন ‘সিনেমাস্কোপ বেস্ট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড’।
‘ইউল্যাব ইয়াং ফিল্মমেকার অ্যাওয়ার্ড’ জয়ী মেহেরুন নেসা পড়ছেন ঢাকা উদ্যান সরকারি কলেজে। ভবিষ্যতে চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়ার ইচ্ছে পোষণকারী মেহেরুন তার ‘অল উইনারস’ চলচ্চিত্রটিতে সবাইকে একসাথে নিয়ে বিজয়ী হওয়ার গল্প দেখিয়েছেন তিনি। সমাপনী পর্বে অনুপস্থিত থাকায় তার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন উৎসব পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন।
শনিবার আয়োজিত উৎসবের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি ছিলেনচলচ্চিত্র বোদ্ধা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর ড.গীতি আরা নাসরীন।তিনি বলেন,সৃষ্টিশীল চিন্তাকে মোবাইলে ধারণ করে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণকারী পরিচালকরা।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন। সাইমন বলেন, নতুনদের সিনেমা স্ফুলিঙ্গের মতো, তাদেরকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে হবে যেন তারা হারিয়ে না যায়।
উৎসবের শেষ দিনের শুরুতে ছিলো ড. আব্দুল কাবিল খানের ‘স্মার্টফোনস দ্য ফিউচার অব ফিল্ম মেকিং’ শীর্ষক বিশেষ কথোপকথন। এর আগে গতকাল উৎসবের উদ্বোধন করেন ইউল্যাবের উপাচার্য প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক।
নতুন প্রজন্ম, নতুন প্রযুক্তি ও নতুন যোগাযোগ—এই স্লোগানকে সঙ্গী করে মোবাইলের মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রতিবছর আয়োজন করা হচ্ছে ঢাকাআন্তর্জাতিকমোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব।এবারের আয়োজনে বিশ্বের ৪১টি দেশ থেকে ২০২টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসকে কেন্দ্র করে আগামী ৩ এপ্রিল থেকে জমা নেওয়া হবে উৎসবের পরবর্তী আসরের চলচ্চিত্র।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
