কোভিড-১৯ এর কারণে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন প্রায় একমাস ধরে। সৈয়দ আবুল মকসুদ। বিশিষ্ট লেখক- গবেষক, বুদ্ধিজীবী। পরিবেশ ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ও মানবাধিকার কর্মী। জীবনের অধিকাংশ সময় পার করেছেন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে। সম্প্রতি সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আমরা যারা সোশ্যাল একটিভিস্ট সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলতাম। তাদের জন্য ঘরের মধ্যে একদম বন্দি থাকাটা খুবই কষ্টকর বটে।
অনেক ব্যাপারে কথা বলতে পারছি না। রাস্তায় বের হতে পারছি না। এটা হলো কোয়ারেন্টিনের নেতিবাচক দিক। ইতিবাচক দিক হচ্ছে ঘরে বসে কাজ করা বা লেখালেখি করতে পারছি। পড়তে পারছি। এটা হচ্ছে বড় অর্জন। একেবারে যে ব্যর্থ হচ্ছে সময়টা এমনটা নয়। ঘরের মধ্যে যেহেতু বাধ্যতামূলক বন্দি। ফলে যে সকল বই পত্রের কাজ আধাআধি ছিলো সেগুলো করছি। যে সকল বইয়ের প্রুফ দেখা বাকী আছে এবার মেলায় বের হতে পারেনি সেই বইয়ের প্রুফ দেখছি। ঘরে বসে নিজের কাজ করছি সেটা হচ্ছে। কিন্তু সমাজের জন্য বাইরে বেরিয়ে সভা সমাবেশ করা, মানুষের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এটাইতো মনের কষ্ট। সরকারি কর্মকর্তারা একদিকে যেমন বসে আছে আবার পরিবারকে সময় দিতে পারছে। এভাবেতো সময় দিতে পারেনি ছুটি থাকলেও। কিন্তু বাধ্যতামূলকভাবে এখন ঘরের মধ্যে থাকায় পরিবারকে মানুষ সময় দিতে পারছে । আমার ক্ষেত্রে লেখালেখি এবং প্রুফ দেখে সময় কেটে যাচ্ছে ।
