চীনের বিরুদ্ধে আবারো করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা লুকানোর অভিযোগ উঠেছে।
একইসঙ্গে দেশটি লকডাউন তুলে নিয়ে নতুন করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সুযোগ
সৃষ্টি করেছে বলেও জানিয়েছে ডেইলি মেইল। জাতীয় অর্থনীতি চাঙ্গা করতেই
মানুষকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে দেশটি অভিযোগ গণমাধ্যমটির।
প্রকাশিত
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা করোনা ভাইরাসে
মৃতের সংখ্যা গোপন করেছে। পাশাপাশি, যখন পুরো পৃথিবী থমকে আছে তখন চীন
পুরোদমে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালু করতে যাচ্ছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে,
বেইজিং দাবি করেছে যে পুরো দেশে মাত্র ৩৩০০ জন করোনায় মারা গেছেন। যা
বৃটেনের বর্তমান মৃতের সংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগেরও কম। চীন বলছে, তাদের
সেখানে আর নতুন কোনো আক্রান্তের খবর নেই।
সবথেকে অবাক করা বিষয় হুবেই প্রদেশের বাইরে দেশটিতে প্রাণ
হারিয়েছেন মাত্র ১১৯ জন। সেখানে চীনের বাইরে মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ৬
হাজার। যেখানে ইউরোপ ও আমেরিকার প্রতিটি দেশের প্রতিটি প্রদেশেই শত শত
মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সেখানে চীনের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গণমাধ্যমটি।
হিসেব
অনুযায়ী, চীনের ১৩০ কোটি মানুষের মধ্যেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরার কথা বলে
ওই প্রতিবেদনে বলেছে ডেইলি মেইল। চীনে পৃথিবীর সবথেকে দ্রুতগামি ও ব্যাপক
পরিসরের রেলসেবা রয়েছে। নভেম্বরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে করোনা ভাইরাস। এরপর
২৩ জানুয়ারি প্রথম লকডাউন ঘোষণা করে চীন। এই দীর্ঘ সময়ে পুরো দেশে করোনা
ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
সেখানে চীন সংকট কাটতে না কাটতেই আবারো
স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে শুরু করেছে। সব ধরণের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাতিল
করেছে। সমালোচকরা বলছেন, চীন পূর্বেও মৃতের সংখ্যা নিয়ে তথ্য গোপন করেছে।
এখনো আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে করে যাচ্ছে। নতুবা তারা করোনা ভাইরাসের ওষুধ
আবিষ্কার করেছে কিন্তু বিশ্বের কাছে উন্মুক্ত করছে না। কোনো কিছু গোপন করা
ছাড়া করোনা ভাইরাসে মৃত্যু নিয়ে চীনের দেয়া তথ্য বিশ্বাসযোগ্য নয় বলেও দাবি
করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
