আমরা ঘরে বন্দি নই ইতালিতে অনেকেই জানতে চান, আমরা ঘরে বন্দি কি না! না । আমাদের দরকারী কাজটুকু করতে পারছি। দেশের এমন সংকটকালীন সময়ে একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের মত নির্দেশনা মেনে চলার চেষ্টা করছি।
সর্বশেষ নির্দেশনা মোতাবেক, গ্রোসারি, সুপার মার্কেট, ফার্মেসি, সংবাদপত্র বিক্রয়কেন্দ্র, পেট্রোল পাম্প ইত্যাদি খোলা থাকবে। রেস্টুরেন্ট, সেলুন, পার্লার, পোশাকের দোকান, ইত্যাদি বন্ধ থাকবে।
মানুষ ঘর হতে বের হতে পারবে, কেবল কাজে যাওয়ার জন্য। মেডিসিন/ডাক্তার, বাজার করা ও অন্যান্য অতি প্রয়োজনীয় কারনে। তবে, ইমারজেন্সি কিছু হলে আপনাকে ঘরে ডাক্তার কল করতে হবে। স্বাভাবিক সময়ের মত হাসপাতালে যেতে পারবেন না।
ব্যায়াম, শরীর চর্চা, পোষা প্রাণীকে হাঁটানো, সিগারেট, নিউজ পেপার কিনতে বের হতে পারবেন। তবে বন্ধুর বাসায় ঘুরতে যাওয়া যাবে না। বাজার করতে এক পরিবারের দুজন একত্রে বের হতে পারবেন না।
রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকলেও হোম ডেলিভারি সার্ভিস খোলা। সেক্ষেত্রে নিয়ম হল, বাসার মেইন গেইট হতে খাবার বুঝে নিতে হবে। দরজা পর্যন্ত পৌঁছে দিবে না। সুপার মার্কেট, ফার্মেসি সহ সকল জায়গায় নির্দিষ্ট পরিমাণ লোক প্রবেশ করতে পারবে। এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
এক মেট্রোপলিটন এলাকা হতে আরেক এলাকায় বিশেষ কারণ ছাড়া যেতে পারবেন না। যে সকল কাজেই আপনি ঘরের বাইরে যান না কেন, আপনার নিজেকেই কারণ উল্লেখ করে সেল্ফ সার্টিফিকেট দিতে হবে। যদি কোনও প্রকার মিথ্যা কারণ দেখানো হয়, তবে তা অপরাধ বলে গন্য হবে, যার জন্য শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে।
একজন কম সময়ের ব্যবধানে তিনবার সিগারেট কিনতে যাওয়ায় তাকে জরিমানা করা হয়েছে! আজ নতুন নির্দেশনা যোগ হয়েছে, আপনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন হলফনামায় এটাও উল্লেখ থাকতে হবে!
আমি একটি গ্রোসারি শপে কাজ করি, প্রতিদিন নিয়ম মত কাজে যাই। একটি ফর্ম ফিলাপ করে সঙ্গে রাখি। কাল কাজে যাওয়ার আগে যোগ করবো, ‘আমি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নই।’
ঘরে থাকার বিকল্প নেই। সকলে সতর্ক থাকুন, ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
