আসুন সাবধান হয়ে যায়। আপনি আমি যেটা ভাবছি সেটা কিন্তু ভুল। ১৪ দিন পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, মোটেও ব্যাপারটা এমন না।
বাসায় বসে বসে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি বানাচ্ছেন। তার বেশি অংশটা নষ্ট করছেন। এখন একটা ভাত বা একটু জিনিসও নষ্ট করা যাবে না। মনে করবেন, আপনি আগামী এক বছর এ যুদ্ধ করবেন? আমাকে পাগল মনে হচ্ছে তাই না!
চলুন একটা নরমাল হিসাব করি। ইউরোপ ও আমেরিকা অফিসিয়ালি জুন পযন্ত সব লক ডাউন করেছে। ধরে নিলাম জুনেই সব ঠিক হয়ে যাবে। তাহলে আমাদের দেশের গার্মেন্টসে নতুন অর্ডার আসবে জুলাইয়ে। অর্ডারগুলো বানাতে সময় লাগবে ৪ মাস। মানে নভেম্বর। ডেলিভারি করে পেমেন্ট নিতে ২ মাস। তারপর মালিক ও শ্রমিকরা টাকা পাবে। দেশে সচ্ছলতা ফিরে আসবে।
সব সেক্টরের কিন্তু একই হবে। তাহলে এক বছর আপনি আমি খাবো কি? আপনি ভাবচ্ছেন আমার কাছে এক বছর চলার টাকা তো আছে.আপনার ধারণাও ভুল।
জানেন তো ক্ষুধার জ্বালায় বনের বাঘও কিন্তু লোকালয়ে চলে আসে। তাই আপনার বাসার নিচে থাকা দরিদ্র মানুষগুলো দরজা ভেঙ্গে আপনার বাসায় ঢুকতে সময় নেবে না।
এখন সময় নষ্ট না করার। এখন সময় মানুষের কথা ভাবার। এখন সময় একজনের খাবার ভাগ করে ৩জন মিলে খাওয়ার। দেশ নিরাপদ মানে আপনিও নিরাপদ।
[ফেসবুক থেকে নেওয়া]
