২ হাজার ৩৬৪ জন ওই দেশের সামরিক বাহিনীর বুলেটে আহত হয়েছেন মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে। এ পর্যন্ত আঘাতের এই সংখ্যা পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে রোহিঙ্গাদের সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানান, গত ২৫ আগস্ট থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ৪ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা এসেছে। এরমধ্যে অস্থায়ী ক্যাম্পে আছে ১ লাখ ৮৩ হাজার রোহিঙ্গা। নতুন নতুন স্থানে স্বঃতস্ফূর্ত আবাসন ২ লাখ ৪ হাজার রোহিঙ্গা। জনপদে পরিচিতদের গৃহে আশ্রয় নিয়েছে ৩৩ হাজার। আগের সহ বর্তমানে কক্সবাজারে মিয়ানমারবাসীর সংখ্যা ৬ লাখ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘মিয়ানমার বাসীদের আগমন কমতে শুরু হলেও এখনও আসা বন্ধ হয়নি। মূলত তারা ১১টি স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় দুই হাজার একর জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আপাতত ১২টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান, আগত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২ হাজার ৩৬৪জন আঘাতপ্রাপ্ত রোগী রয়েছেন। এরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বুলেটে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। আগতদের মধ্যে ৩ হাজার ৫২৯ জন ডায়েরিয়া সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। শ্বাসনালীর সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৭ হাজার ৯৬৯ জন। আর চামড়ার অসুখ হয়েছে ২ হাজার ৩৩৫ জনের।

ওই কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫২ হাজার জনকে টিকা এমআর দেয়া হয়েছে। বিওপিভি দেয়া হয়েছে ১৮ হাজার ৪১০ জনকে। আর ভিটামিন-এ দেয়া হয়েছে ১২ হাজার ৬৭৫ জনকে। একজন হামের রোগী ছাড়া কোনো টিকাজনিত রোগ পাওয়া যায় নাই।

এছাড়া এ পর্যন্ত দুইজন এইচআইভি রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031