মানিকগঞ্জের জয়রা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়  স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সসড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জমিতেহযোগী সংগঠনের কার্যালয় করা হয়েছে।

বেহাত জমি উদ্ধারে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা।

অভিযোগ আছে, কার্যালয়ের নামে এভাবে জমি দখলে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম। তিনি শুভযাত্রা মিনিবাস মালিক সমিতিরও সাধারণ সম্পাদক।

আওয়ামী লীগের দখলদার নেতাদের দাবি, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনুমতি নিয়েই তারা কার্যালয়টি করেছেন। সেই জ্যেষ্ঠ নেতারা অবশ্য এ ধরনের অনুমতি দেয়ার কথা অস্বীকার করছেন।

মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার সিদ্দিক খান সুপার মার্কেটের সামনে সওজ বিভাগের জমি। ব্যস্ত এই এলাকায় সম্প্রতি একটি ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এর উত্তর পাশের জমি দখল করে আধা পাকা একটি ঘরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে।

এই এলাকার মহাসড়কের দুই পাশে সরকারি জমিতে ম্যাক্সি, ট্যাম্পু সিএনজি অটোরিকশা ও হেলোবাইক স্ট্যান্ড করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে। যা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ভাগ করে নিচ্ছেন। এই টাকার একটি অংশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাও পাচ্ছেন বলে অভিযোগ আছে।

স্ট্যান্ডগুলো থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করলেও নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া না মেনে দলীয় কার্যালয় করার কথা স্বীকার করেন মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সড়ক বিভাগ যখন কোনো কাজ করবে, তখনি জমি ছেড়ে দেওয়া হবে।’

সরকারি জায়গায় দলীয় কার্যালয় প্রসঙ্গে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, ‘মানিকগঞ্জ শহরে নিবন্ধিত আওয়ামী লীগ কার্যালয় একটি। এর বাইরে অন্য কোনো কার্যালয় করা দলের জন্য ভালো লক্ষণ নয়। এমন কার্যালয় দলের কেউ করলে সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে করছেন না।’

বেহাত জমি সম্পর্কে কথা বলতে সওজ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মুহিবুল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সড়ক বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাসস্ট্যান্ডের জায়গাকে কেন্দ্র করে অবৈধ অর্থ লেনদেনের ব্যাপার থাকায় উচ্ছেদ অভিযানের কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।’

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031