দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অর্থনীতি চিবিয়ে খাওয়ার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন দেশ খেয়ে ফেলছে বলে । গতকাল বিকালে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে বিভাগীয় গণসমাবেশে তিনি এমন দাবি করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার নাকি জনগণকে ভয় পায় না। তাহলে দুদিন আগে গাড়ি বন্ধ করল কেন? বাংলাদেশের মানুষ অবশ্যই জেগে উঠবে এবং এই ভয়াবহ একনায়ক হাসিনা সরকারের পতন ঘটাবে। এই সমাবেশের একটাই কারণ। একজন মাত্র ব্যক্তি, একটা মাত্র দল গত ১৫ বছর ধরে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্যাতন করছে। বিএনপির উপর নির্যাতন করছে। আমাদের সমস্ত দেশটাকে তারা কুড়ে কুড়ে খেয়ে ফেলছে। খবর বাংলানিউজের।

তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম কেন? হাসিনার এই বাংলাদেশ দেখার জন্য? আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম একটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারব সেজন্য। এখন কি আমরা ভোট দিতে পারি? আগের রাতেই ভোট হয়ে গেছে। এর আগে ১৪ সালে ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করেছে। আমরা সেই নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেব না।

নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সোজা কথা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া হাসিনার অধীনে এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না; সাফ কথা। আমাদের একটাই দাবি, হাসিনার পদত্যাগ। আমাদের দাবি সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, তাদের মাধ্যমেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোট হবে এবং জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বলেছিল ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। এখন কি ঘরে ঘরে চাকরি আছে? এখন আবার নতুন একটি ধুয়া তুলছে। জঙ্গিবাদ আবার বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এটা হচ্ছে আরেকটি চক্রান্ত। বলেছে, যারা অগ্নিসংযোগ করেছে, জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। ওই অস্ত্র আপনাদের ভোঁতা হয়ে গেছে। ওই অস্ত্র আর চলবে না। আপনাদের আসল চেহারা সবাই জেনে গেছে। পৃথিবীর মানুষ জেনে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের রিপোর্টে লিখেছে এই সরকার যা বলে মিথ্যে বলে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার মানবাধিকার সম্পর্কে যেসব রিপোর্ট দেয় তা মিথ্যে। এখানে মানবাধিকার নেই। মানুষ গুম হয়ে যাচ্ছে, কথা বলতে দেয় না।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031