বিপর্যস্থ ইতালি চীনের উহান থেকে শুরু হওয়া করোনাভাইরাসে । শুক্রবার (১ মে) প্রাণহানির সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকায় আশার আলো দেখছে ইতালির ছয় কোটি মানুষ। শুক্রবার মারা গেছে ২৬৯ জন। বৃহস্পতিবার এ সংখ্যা ছিল ২৮৫ জন। জনগণকে সুরক্ষা দিতে ইতালি সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ নিয়ে ইতালিতে মোট মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ২৩৬ জন।

গত কয়েকদিনে রেকর্ড পরিমান লোক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। শুক্রবারও এ সংখ্যা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে দুই হাজার ৩৪৯ জন। এদিন নতুন আক্রান্ত এক হাজার ৯৬৫ জন। দেশটিতে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৫৫৯ জন, যা বৃহস্পতিবারের চেয়ে ১৩৫ জন কম। মোট চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা এক লাখ ৯৪৩ জন এবং দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ সাত হাজার ৪২৮ জন বলে জানিয়েছেন নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান অ্যাঞ্জেলো বোরেল্লি।

তিনি বলেন, জনগণকে সুরক্ষা দিতে সরকার করোনা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে এ পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭৮ হাজার ২৪৯ জন।

ইতালির ২১ অঞ্চলের মধ্যে লোম্বারদিয়ায় করোনার সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মিলান, বেরগামো, ব্রেসিয়া, ক্রেমনাসহ ১১টি প্রদেশ। শুক্রবার এ অঞ্চলে মারা গেছে ৮৮ জন। শুধু এ অঞ্চলেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ হাজার ৮৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ অঞ্চলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬ হাজার ৪৬৯ জন। শুক্রবার মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৩৮৭ জন এবং মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২৬ হাজার ১৩৬ জন।

এদিকে ইতালিতে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দেয়ার পর অনেকেই অ্যাঞ্জেলো বোরেল্লির সমালোচনা করছেন। করোনাভাইরাস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ না করে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দেয়ায় সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে চলছে নানা বিতর্ক। লকডাউন শিথিলের অংশ হিসেবে দেশটিতে ৪ মে থেকে উৎপাদন শিল্প, নির্মাণ খাত ও পাইকারি দোকান পুনরায় চালুর প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। তবে আপাতত সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

অ্যাঞ্জেলো বোরেল্লি বলেন, যে ইতালিকে ভালোবাসে, সে অবশ্যই সব বিধিনিষেধ মেনে চলবে। তিনি আবারও বলেন, অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। আগের মতো অনেকটা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবেন, তবে এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতে স্ব ঘোষিত-সার্টিফিকেট সঙ্গে থাকতে হবে।

এদিকে লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা দেয়ার পর পাবলিক পরিবহনগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার প্রথম ধাপে যাত্রীদের দাঁড়ানো এবং বসার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে। সর্বোপরি দিনদিন আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা কমতে থাকায় করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির আশা দেখছে ইতালিবাসী।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031