সরাসরি খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে না ঢুকতে পারলেও এটিকেই ইরানি নারীদের জন্য বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন অনেকে।প্রায় চার দশক ধরে স্টেডিয়ামে ইরানি নারীদের প্রবেশে প্রকাশ্যে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও প্রতিটি ক্ষেত্রেই তা বাস্তবায়িত হতো। তবে চলতি রাশিয়া বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ভাগ্য খুলেছে তাদের। গত বুধবার স্পেনের সঙ্গে হওয়া ইরানের ম্যাচটি দেশটিরা স্টেডিয়ামের বড় পর্দায় দেখানো হয়েছে। আর সেখানে প্রবেশে করতে দেয়া হয়েছে নারীদেরও।
১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর এই প্রথম ফুটবল স্টেডিয়ামে নারীদের ঢুকতে দেওযা হয়েছে। তেহরানের আজাদি স্টেডিয়ামে পুরুষদের সাথে নারীরাও বড় পর্দায় খেলা দেখেছেন। সোমবার পর্তুগালের সাথে ম্যাচেও ইরানি নারীরা স্টেডিয়ামে ঢোকার অনুমতি পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
বুধবার মাঠে উচ্ছ্বসিত নারী ফ্যানদের সেলফি, পতাকা হাতে তাদের উচ্ছ্বাসের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে। এমনকি ইরানের জাতীয় দলের টুইটারও সেসব ছবি পোষ্ট করা হয়েছে।
স্পেনের অধিনায়ক সের্জিও রামোসও টুইট করেছেন, ‘তারাই (ইরানী নারীরা) আজ জিতেছেন। আশা করি এটা তাদের বিজয়য়ের সূচনা।’
এর আগে মে মাসে ছেলেদের ছদ্মবেশে পাঁচজন নারী আজাদি স্টেডিয়ামে ঢুকে ম্যাচ দেখেছিলেন। খেলাধুলোর ভেন্যুতে ঢোকার ব্যাপারে ইরানে নারীদের ওপর সরকারি কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, কিন্তু নানা ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। পুলিশও নারীদের ঢুকতে বাঁধা দেয়।
মার্চে একটি ফুটবল ম্যাচে যাওয়ার জন্য ৩৫ জন নারীকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার সকালে হঠাৎ ঘোষণা করা হয় আজাদি স্টেডিয়ামে পরিবার নিয়ে যাওয়া যাবে। টিকেট কিনে লাইনে দাঁড়ান অনেক নারী। কিন্তু পুলিশ হঠাৎ করে বলতে থাকে পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।
সাথে সাথে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ এবং অবস্থান ধর্মঘট। টুইটার সহ সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভের খবর এবং ছবি। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দলরেজা রাহমানির এক বিশেষ আদেশে এক ঘণ্টা পর মেয়েদের ঢুকতে দেওয়া হয়।
