এবারের বিষয় বস্তু ছিল ‘নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তালা’। ইসলামিক ফিকহ বোর্ড বাংলাদেশে’র তৃতীয় ফিকহি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘মারকাযুল উলুমিল ইসলামিয়া বনশ্রী, রামপুরায় এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন দারুল উলূম দেওবন্দের সিনিয়র মুহাদ্দিস ও হাদিস বিভাগীয় প্রধান এবং ফিকহ একাডেমি ইন্ডিয়ার সভাপতি আল্লামা নেয়ামতুল্লাহ আজমি। অনুষ্ঠানের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ছিলেন ফিকহ একাডেমি ইন্ডিয়ার সেক্রেটারি জেনারেল আল্লামা মুফতি ওবাইদুল্লাহ আসআদি।

উপস্থিত ছিলেন ‘ইসলামিক ফিকহ বোর্ড বাংলাদেশ’র পৃষ্ঠপোষক, জামেয়া পটিয়ার শাইখুল হাদিস ও প্রধান মুফতি মাওলানা হাফেজ আহমদুল্লাহ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মুফতি সলিমুদ্দিন মাহদি কাসেমী।

এছাড়াও সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন জামেয়া পটিয়ার মুহাদ্দিস মুফতি শামছুদ্দীন জিয়া, মারকাযুদ দাওয়াহর মুশরিফ মাওলানা আব্দুল মালেক, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত পরিষদের সেক্রেটারি মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, জামেয়াতুল উলূম ইসলামিয়া মোহাম্মদপুর ঢাকার মুহাদ্দিস মুফতি আব্দুল মতীন, জামিয়া শারঈয়্যা মালিবাগের সিনিয়র শিক্ষক মুফতি সাঈদুর রহমান, জামিয়া রহমানিয়ার প্রধান মুফতি আল্লামা হারুন, আফতাবনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মুহাম্মদ আলী, জামিআতুল উলূমিল ইসলামিয়া ঢাকার মুহতামিম মুফতি মাহমুদুল হাসান, জামিয়া মাদানিয়া ফেনীর সহকারী পরিচালক মুফতি আহমদুল্লাহসহ দেশবরেণ্য আলেমরা।

সকাল ৭:৩০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ‘ইসলামিক ফিকহ বোর্ড বাংলাদেশ’ এর পরিচিত ও লক্ষ্য উদ্দেশ্য তুলে ধরেন অনুষ্ঠান সঞ্চালক মুফতি সলিমুদ্দিন মাহদি কাসেমী। স্বাগত বক্তব্য দেন মারকাযুল উলূমিল ইসলামিয়া বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা ইহতিশামুল হক নোমান। দারুল উলূম দেওবন্দের মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানীর লিখিত অভিমত পড়েন ফতোয়ায়ে দারুল উলূমের সংকলক, জামিয়া রওজাতুল উলূমের সদরে মুফতি মাওলানা মুঈনুল ইসলাম। সভাপতির লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুফতি শুয়াইব দারুল উলূম দেওবন্দ। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মুফতি মা’রূপ মুজিব ফেনী। বাদ জোহর বোর্ডের সিদ্ধান্ত শুনানো হয়।

উপস্থিত বক্তারা সেমিনারের ভূয়ষী প্রশংসা করে বলেন, এ ধরনের সেমিনার আমাদের জানামতে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হলো। সারাটি বেলা ইলমি গবেষণার মধ্যে কাটানোর সুযোগ হলো। আকাবির উলামায়ে কেরাম বোর্ডের কর্মকাণ্ডের ওপর সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ইফতার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বোর্ডের কার্যক্রমে সার্বিক অন্তর্ভুক্তি থাকা উচিত। তাতে একদিকে বোর্ড শক্তিশালী হবো অপরদিকে নিজেরাও অনেক উপকৃত হতে পারবে। সময়ের দাবি অনুসারে বোর্ডের মাধ্যমে সমন্বিত চিন্তা-গবেষণার একটি উত্তম ব্যবস্থা হবে। তাতে উলামায়ে কেরাম ও বুদ্ধিজীবীরা পারস্পরিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে আধুনিক যুগে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও শৈল্পিক পরিবর্তনের কারণে এবং অধুনিক আবিষ্কার ও উন্নয়নের ফলে সমাজের মধ্যে সৃষ্ট সমস্যার ইসলামি সমাধান উদ্ভাবন করার সুযোগ পাবে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031