আজ শনিবার চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে বলেন ইসি সচিব। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সব নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব এবং বাকি চার নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে কোনো বিরোধ দেখছেন না ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ।

গত বৃহ¯পতিবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত সিইসি-ইসি সচিবের সঙ্গে চার কমিশনারের মতবিরোধ বিষয়ক সংবাদের প্রসঙ্গ টেনে ইসি সচিব এসব কথা বলেন।

সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ বলেন, সিইসি ও ইসি সচিবের সঙ্গে বাকি চার নির্বাচন কমিশনের মতবিরোধ রয়েছেন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবর সঠিক বলে মনে হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনে সে রকম কোনো বিরোধ দেখছি না। সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, মাননীয় নির্বাচন কমিশনাররা মনে করছেন যে অনেক বিষয় স¤পর্কে তারা অবহিত হচ্ছেন না। তারা যেন সব বিষয়ে অবহিত থাকেন সেই দাবি জানিয়েছেন। তাই এখন তাদের সব বিষয়ে অবহিত করা হচ্ছে।

নির্বাচনে আসতে আগ্রহী নয়, এমন দলকে নির্বাচনে আনার ক্ষেত্রে কমিশন কোনো উদ্যোগ নেবে কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, বিশেষ কোনো উদ্যোগ নির্বোচন কমিশন আর নেবে না। এর আগেও আমরা তাদের সঙ্গে সভা করেছি। সেখানে তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে অনুরোধ করা হয়েছিল। আশা করছি, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে এবং একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে।

নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ইসি সচিব বলেন, তফসিল ঘোষণার পরে নির্বাচন কমিশন বসে এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।

সচিব জানান, তফসিল ঘোষণার পর সিইসিসহ সব কমিশনাররা বিভাগগুলো পরিদর্শন করে সেখানে প্রযোজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন এবং সমন্বয় সভা করবেন।

নির্বাচনে ঝুঁকির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সচিব বলেন, নির্বাচনে কোনো ঝুঁকি দেখছেন না তিনি। তবে ঝুঁকি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশনের আছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নির্বাচনের ৮০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর বাকি প্রস্তুতি শেষ হবে। তবে কবে নির্বাচন হতে পারে, তা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি।

সচিব জানান, সারাদেশে মোট ভোটকেন্দ্র ৪০ হাজার ১৯৯টি। এসব কেন্দ্রের সবগুলোকে ট্যাব (ট্যাবলেট পিসি) পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সরাসরি ফল পাঠানো যায় কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

তিনি জানান, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে এই নির্বাচনে প্রাইমারি, এমপিওভুক্ত ও সরাকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা কাজ করবেন। সেইসঙ্গে থাকবেন বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

গ্রামীণ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা আছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারাও তালিকায় আছেন। তবে বিতর্ক হলে তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।

মতনিবিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031