এক লাখ টাকা আদায় ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশের চার সদস্য ও কথিত তিন সোর্সের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে । অভিযোগ গ্রহণ করে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মো. নোমান এই আদেশ দেন। অভিযুক্তরা হলেন- গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ, উপপরিদর্শক আফসার উদ্দিন রুবেল, কনস্টেবল পাপ্পু ও মনির এবং পুলিশের সোর্স হাসান মুরাদ, মিলন ও খোকন।
বাদী পক্ষের আইনজীবি সানোয়ার হোসেন লাভলু বলেন, আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন। গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২ জুলাই ঢাকার বাড্ডা ও রমনা এলাকা থেকে আজাদ ও জাহিদ ওরফে রানাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এরপর ৪ জুলাই সকাল ৮টার দিকে তাদেরকে চট্টগ্রামের ডিবি অফিসে নিয়ে আসে। এরপর টাকা নিয়ে আজাদকে ছেড়ে দেয়।
ওইদিন রাত ১০টার দিকে রানাকে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ৫ জুলাই রানাকে পাহাড়তলী থানা এলাকায় নিয়ে গিয়ে ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার দেখানো হয়। এরপর মাদকের মামলায় আসামি করে কোতোয়ালী থানায় রানাকে পাঠানো হয়।
এরপর রানাকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে রানার ভাই নীরবের কাছ থেকে এক লাখ টাকা সংগ্রহ করে পুলিশ সদস্যরা। ৬ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাজীর দেউড়ী এসএ পরিবহনের মাধ্যমে এই টাকা লেনদেন হয়।
