বৈশাখি র্যালি হবে না। আজ বাংলা নববর্ষ! মন খুব একটা ভালো নেই। বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবের দিন এবার কাঁটবে ঘরে বসে এবং সেটাই উচিত। রমনার বটমূল থাকবে শূণ্য, ভাবা যায় না। একটা অদৃশ্য ভাইরাস কিভাবে আমাদেরকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে।
তাই বলে পহেলা বৈশাখে তো বাঙালি মন খারাপ করে বসে থাকতে পারে না। হারার আগেই হেরে যেতে পারে না। তাই এবারো লাল-সাদা শাড়ি বাঙালি ললনার গায়ে চড়বে, বেলী ফুল না হোক, খোঁপায় চড়বে কাগজের ফুল, পাঞ্জাবীর ভাঁজ খুলবে পুরুষেরা, বাচ্চারা হাতে ডুগডুগি নিয়ে লাফিয়ে বেড়াবে বাড়িময়।
মা এর হাতের রান্নার স্বাদ মুখে পড়তেই চোখ বন্ধ হয়ে আসবে, ঘরে বসেই হারমোনিয়াম আর গিটার বাজিয়ে গলা খুলে গান হবে। বারান্দা-বারান্দায় হবে আড্ডা, ফেসবুকে হবে সেল্ফি কন্টেস্ট।
এইসব কথা মাথায় রেখেই ক’দিন আগে গান’টা লিখেছিলাম। সুমি সুর করলো। বাপ্পা’দা, কণা, সুমি, রাফা, আনিকা আর চঞ্চল ভাই ভালবেসে গান’টা গেয়েছে। আর আনিস ভাই, সুইটি, পিয়া সাথে থেকে আমাদের সাহস দিয়েছে। পাভেল, তাশাফি, সোহেল- ওদের অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া ৩ দিনে এমন গান নামানো যেতো না।
সবশেষে সবচেয়ে বড় কৃতজ্ঞতা সাব্বির ভাই আর স্বপ্নের প্রতি সাথে মাহাদিকে, আমাদের সাথে থাকবার জন্য, তা না হলে এই কাজ’টা করাই যেতো না হয়তো। যা হোক, জাতির এই দুঃসময়ে এই গান’টা আমাদের একটা ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা, নববর্ষের আনন্দকে ফিরিয়ে আনবার।
আমাদের প্রাণপ্রিয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, আমাদেরকে ঘরে বসে কিংবা ডিজিটাল মিডিয়ায় নববর্ষ উদযাপন করতে।
চলুন ঘরে বসে, সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করে আমরা ঘরে বসে উৎসবে মেতে উঠি। নতুন বছরকে বরণ করে নিই এই বিশ্বাসে যে, বৈশাখ এসে সব জরা গ্লানি, আবর্জনা উড়িয়ে নিয়ে চলে যাবে। শুভ নববর্ষ!
লেখকঃ গাউসুল আলম শাওন, লেখক, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্রের কাহিনীরচয়িতা এবং জনপ্রিয় অভিনেতা।
