শুধু লিফলেট আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতন করা নয়, করোনা প্রতিরোধে মাঠে নেমে ভিন্ন রকম উদাহরণ সৃষ্টি করছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এক কাউন্সিলর। কারণ এখনও পর্যন্ত যেখানে করোনা ইস্যুতে লিফলেট ছাড়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তেমন কোন কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি সাধারন মানুষের, সেখানে এই কাউন্সিলরের কর্মকাণ্ড যেন সম্মান রাখছে সিটি করপোরেশনের।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ তার ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি নিজ উদ্যোগেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা জীবনামুক্তকরণ জেল তৈরি শুরু করেছেন। দেশের অন্যতম শীর্ষ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দের দেয়া ফর্মুলা অনুসরণ করে ৫০ এমএল এর দুই হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কাউন্সিলর খোরশেদ জানান, আমরা কেমিস্ট বন্ধুদের ফর্মুলা অনুযায়ী এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করছি। প্রতি ২৬ লিটারের জন্য আমরা ব্যবহার করছি আইসো প্রোফাইল অ্যালকোহল ১০ লিটার, গ্লিসারিন ২.৫ লিটার, পানি ১৩ লিটার, এলোভেরা জেল ৫০০ এমএল, এসেনসিয়াল অয়েল ২৫ এমএল।
খোরশেদ ক্ষোভের সঙ্গে আরও জানান, এসব উপাদান ঢাকা মিটফোর্ড মেডিসিন মার্কেটে কিনতে গিয়েও চরম অভিজ্ঞতা হয়েছে। যে প্লাস্টিক বোতল ছিলো ২ টাকা, সেটি কিনতে হয়েছে ১০ টাকায়। স্যানিটাইজারের মূল উপাদান আইসো প্রোফাইল অ্যালকোহল এতদিন ছিলো ১২০ টাকা লিটার, আমাকে কিনতে হয়েছে ৩০০ টাকা লিটার। শুধু তাই নয়, দোকানদার বলে দিয়েছে আজই বেশি করে কিনে নেন, কাল থেকে ৬০০ টাকার এক টাকাও কম হবে না। আমার মনে হয় এদিকেও প্রশাসনের নজর দেয়া উচিত।
একমাত্র আল্লাহর রহমত ও আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে মরণঘাতী করোনা থেকে আমাদের রক্ষা করতে। এবারই প্রথম না। প্রাকৃতিক বিভিন্ন দুর্যোগে খোরশেদ এগিয়ে আসেন সব সময়। কোরবারিন ঈদের পরও বর্জ্য নিরসনে নিজ উদ্যোগে নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করেন তিনি।
