উৎসব আনন্দে চারদিকে আলো ঝলমলে বর্ণিল পরিবেশে সবাই মেতে আছেন । এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ‘একুশ’ নামের । ফুটফুটে হাস্যোজ্জ্বল শিশুটিমা–বাবার আদরযত্নে বেড়ে উঠছে যে শিশুটি, তাকে ঘিরেই এই আয়োজন। ঘর আলো করে যে শিশুটি আবার নতুন করে বাঁচার আশা দিল, সেই একুশকে বরণ করে নিতে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে গতকাল শুক্রবার রাতে আকিকা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাকের–সাকিলা দম্পতি।
আকিকা অনুষ্ঠানে আবদুল খালেক মোহাম্মদ মুজীদ ইসকান্দার নামে সবাই চিনবে একুশকে। নিজেদের একমাত্র সন্তানকে সবার সাথে পরিচিত করে তুলতে আত্মীয়স্বজন, নগরীর বিভিন্ন প্রশাসনের কর্মকর্তা, মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ দুই হাজার মানুষদের জন্য রাতের এই আয়োজন। সকাল থেকে একুশের বাবা ডা. মোহাম্মদ জাকের ইসলাম ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেহমানদের জন্য বিভিন্ন আয়োজন তদারকির মধ্য দিয়ে। আর মা সাকিলা আকতারের সারাবেলা কাটছে একুশকে নিয়ে।
আকিকা অনুষ্ঠানেও সব আত্মীয়স্বজন, অতিথিদের অপেক্ষা অনুষ্ঠানের মধ্যমণি জাকের–সাকিলা দম্পতির সন্তান আবদুল খালেক মোহাম্মদ মুজীদ ইসকান্দার একুশ। সন্ধ্যা থেকেই তাকে একনজর দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুণছে সবাই। অবশেষে সাড়ে ৯টার দিকে মায়ের কোলে চড়ে অতিথিদের মাঝে আসল একুশ। যাকে নিয়ে এত আয়োজন সেই একুশ মায়ের কোলে হাসতে হাসতে কখনো গড়াগড়ি খাচ্ছেন আবার কখনো বাবার কোলে লাফিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। সাদা পাঞ্জাবির উপর নীল কটিতে রাজকীয় বেশে দারুণ লাগছিল একুশকে। একুশের মুখে মিষ্টি হাসি, মায়াভরা চোখে দুষ্টুমি। অতিথিরাও তাকে নিয়ে মেতে উঠেছেন উৎসব আনন্দে। এভাবেই ভরে উঠুক একুশের জীবন, সেই কামনা অতিথি–আত্মীয়স্বজন সবারই। একুশকে উদ্ধারের কথা স্মরণ করে আকবর শাহ থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে সেসময় একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে থানার শহীদ মিনারে প্রস্তুতি চলছিল। খবর পেয়ে দ্রুত এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। এর আগে অনেক মৃত বাচ্চা উদ্ধারের ঘটনার সাথে জড়িত থাকলেও জীবিত বাচ্চা উদ্ধারের এটাই প্রথম আমার জীবনে। তাই অসম্ভব ভালো লাগছিল। বাচ্চা এখন সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কাটাবে। সেই সাথে যত্নশীল মা–বাবার সাথে তার নতুন জীবন আরো সুন্দর হয়ে উঠবে সেই কামনা করে ওসি মোহাম্মদ আলমগীর আরো বলেন, সেই রাতে উদ্ধারের পর একুশ যখন আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছিল সেটা ভেবে মনটা এখনো খুশিতে ভরে উঠে। তার নতুন ঘর, স্নেহময়ী মা, দায়িত্বশীল বাবা, তার জন্য নানারকম আয়োজন দেখে আরো ভালো লাগছে।
একঁেঘয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে এখন নতুন করে সংসার সাজাচ্ছেন ইয়ং ওয়ানের মেডিকেল ইনচার্জ ডা. মোহাম্মদ জাকের ইসলাম। সন্তানকে নিয়ে এখন কর্মব্যস্ত জীবনের মাঝেও দারুণ সময় কাটাচ্ছেন জানিয়ে একুশের বাবা বলেন, সন্তানের অভাবে জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। কোন কিছুই ভালো লাগতো না আমাদের। এই একঁেঘয়েমি জীবনে আবার নতুন করে প্রাণ ফিরেছে। একুশকে নিয়ে আমরা সবসময় উৎসবে মেতে থাকি। আত্নীয়স্বজনরাও তাকে দেখতে, উপহার দিতে ছুটে আসছে দূরদূরান্ত থেকেও।
নিজস্ব বাড়ি দক্ষিণ/মধ্যম হালিশহরের হাজী অছি মিয়া সওদাগর বাড়ি। কিন্তু এখন বাড়ির সংস্কার কাজের জন্য চকবাজারের ইমামগঞ্জে এম এ খালেক ভিলায় থাকছে একুশের পরিবার। নুরজাহান বেগম এবং মরহুম ইসকান্দার আলীর মেজ ছেলে জাকের ইসলাম এখন নিজের সন্তানের জন্য সবকিছু ঢেলে সাজাচ্ছেন জানিয়ে আরো বলেন, একুশ ঘরে আসার পর অন্যরকম আনন্দ পরিবারের সবার মাঝে। আমাদের বাচ্চা খুব হাসিখুশি থাকে সবসময়।
একুশের মা সাকিলা আকতার একসময় এনজিওতে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু এখন পুরোদস্তুর গৃহিণী। তাই এখন একুশকে নিয়ে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটছে তার। অন্যদিকে, দাদী নুরজাহান বেগমের সাথেও সারাদিন দুষ্টুমিতে মেতে থাকে একুশ। যতক্ষণ জেগে থাকে ততক্ষণ দাদী আর নাতির দুষ্টুমি আর হাসি আনন্দে ভরে উঠে গোটা ঘর। নতুন এই দুনিয়া ঘিরে এখন বেশ হাসিখুশিভরা জীবন কাটাচ্ছেন জাকের–সাকিলা দম্পতি। পারিবারিকভাবে আগেই একুশকে বরণ করে নিতে ঘরোয়া পরিবেশও অনুষ্ঠান করা হয়েছে জানিয়ে একুশের বাবা ডা. মোহাম্মদ জাকের ইসলাম বলেন, ৫ এপ্রিল একুশকে বাসায় আনার পর ৬ এপ্রিল চকবাজারের বাসায় আত্নীয়স্বজনদের নিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে বরণ করে নিই আমাদের সন্তানকে। একুশ ঘরে আসার পর থেকে পরিবেশ অনেক পাল্টে গেছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ঘরের পরিবেশ একদম পাল্টে গেছে, হাসি আনন্দে পরিবারের সবাইকে মাতিয়ে রাখে একুশ একাই। কর্ম ত্ের থেকে যত দ্রুত সম্ভব ফিরে আসি কাজ শেষ করে। মন ভরে যায় ঘরে ফিরে।
উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে নগরীর কর্নেলহাট এলাকায় ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার করা হয় একুশকে। পরবর্তীতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নবজাতক বিভাগে রাখা হয়। একুশকে লালনপালনের জন্য আবেদন করা ১৬ দম্পতির মধ্যে জাকের–সাকিলা দম্পতিকে হস্তান্তর করা হয়। ২৯ মার্চ বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস একুশকে এই দম্পতির জিম্মায় হস্তান্তরের আদেশ দেন। আদেশ অনুযায়ী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নবজাতক বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. দেবাশীষ চৌধুরী জাকের–সাকিলা দম্পতির কাছে হস্তান্তর করেন একুশকে।
চারদিকে আলো ঝলমলে বর্ণিল পরিবেশে সবাই মেতে আছেন উৎসব আনন্দে। এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ‘একুশ’ নামের ফুটফুটে হাস্যোজ্জ্বল শিশুটি। মা-বাবার আদরযত্নে বেড়ে উঠছে যে শিশুটি, তাকে ঘিরেই এই আয়োজন। ঘর আলো করে যে শিশুটি আবার নতুন করে বাঁচার আশা দিল, সেই একুশকে বরণ করে নিতে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে গতকাল শুক্রবার রাতে আকিকা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাকের-সাকিলা দম্পতি। আকিকা অনুষ্ঠানে আবদুল খালেক মোহাম্মদ মুজীদ ইসকান্দার নামে সবাই চিনবে একুশকে। নিজেদের একমাত্র সন্তানকে সবার সাথে পরিচিত করে তুলতে আত্মীয়স্বজন, নগরীর বিভিন্ন প্রশাসনের কর্মকর্তা, মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ দুই হাজার মানুষদের জন্য রাতের এই আয়োজন। সকাল থেকে একুশের বাবা ডা. মোহাম্মদ জাকের ইসলাম ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেহমানদের জন্য বিভিন্ন আয়োজন তদারকির মধ্য দিয়ে। আর মা সাকিলা আকতারের সারাবেলা কাটছে একুশকে নিয়ে। আকিকা অনুষ্ঠানেও সব আত্মীয়স্বজন, অতিথিদের অপেক্ষা অনুষ্ঠানের মধ্যমণি জাকের-সাকিলা দম্পতির সন্তান আবদুল খালেক মোহাম্মদ মুজীদ ইসকান্দার একুশ। সন্ধ্যা থেকেই তাকে একনজর দেখার অপেক্ষায় প্রহর গুণছে সবাই। অবশেষে সাড়ে ৯টার দিকে মায়ের কোলে চড়ে অতিথিদের মাঝে আসল একুশ। যাকে নিয়ে এত আয়োজন সেই একুশ মায়ের কোলে হাসতে হাসতে কখনো গড়াগড়ি খাচ্ছেন আবার কখনো বাবার কোলে লাফিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। সাদা পাঞ্জাবির উপর নীল কটিতে রাজকীয় বেশে দারুণ লাগছিল একুশকে। একুশের মুখে মিষ্টি হাসি, মায়াভরা চোখে দুষ্টুমি। অতিথিরাও তাকে নিয়ে মেতে উঠেছেন উৎসব আনন্দে। এভাবেই ভরে উঠুক একুশের জীবন, সেই কামনা অতিথি-আত্মীয়স্বজন সবারই। একুশকে উদ্ধারের কথা স্মরণ করে আকবর শাহ থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে সেসময় একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে থানার শহীদ মিনারে প্রস্তুতি চলছিল। খবর পেয়ে দ্রুত এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। এর আগে অনেক মৃত বাচ্চা উদ্ধারের ঘটনার সাথে জড়িত থাকলেও জীবিত বাচ্চা উদ্ধারের এটাই প্রথম আমার জীবনে। তাই অসম্ভব ভালো লাগছিল। বাচ্চা এখন সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কাটাবে। সেই সাথে যত্নশীল মা-বাবার সাথে তার নতুন জীবন আরো সুন্দর হয়ে উঠবে সেই কামনা করে ওসি মোহাম্মদ আলমগীর আরো বলেন, সেই রাতে উদ্ধারের পর একুশ যখন আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছিল সেটা ভেবে মনটা এখনো খুশিতে ভরে উঠে। তার নতুন ঘর, স্নেহময়ী মা, দায়িত্বশীল বাবা, তার জন্য নানারকম আয়োজন দেখে আরো ভালো লাগছে। একঁেঘয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে এখন নতুন করে সংসার সাজাচ্ছেন ইয়ং ওয়ানের মেডিকেল ইনচার্জ ডা. মোহাম্মদ জাকের ইসলাম। সন্তানকে নিয়ে এখন কর্মব্যস্ত জীবনের মাঝেও দারুণ সময় কাটাচ্ছেন জানিয়ে একুশের বাবা বলেন, সন্তানের অভাবে জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। কোন কিছুই ভালো লাগতো না আমাদের। এই একঁেঘয়েমি জীবনে আবার নতুন করে প্রাণ ফিরেছে। একুশকে নিয়ে আমরা সবসময় উৎসবে মেতে থাকি। আত্নীয়স্বজনরাও তাকে দেখতে, উপহার দিতে ছুটে আসছে দূরদূরান্ত থেকেও। নিজস্ব বাড়ি দক্ষিণ/মধ্যম হালিশহরের হাজী অছি মিয়া সওদাগর বাড়ি। কিন্তু এখন বাড়ির সংস্কার কাজের জন্য চকবাজারের ইমামগঞ্জে এম এ খালেক ভিলায় থাকছে একুশের পরিবার। নুরজাহান বেগম এবং মরহুম ইসকান্দার আলীর মেজ ছেলে জাকের ইসলাম এখন নিজের সন্তানের জন্য সবকিছু ঢেলে সাজাচ্ছেন জানিয়ে আরো বলেন, একুশ ঘরে আসার পর অন্যরকম আনন্দ পরিবারের সবার মাঝে। আমাদের বাচ্চা খুব হাসিখুশি থাকে সবসময়। একুশের মা সাকিলা আকতার একসময় এনজিওতে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু এখন পুরোদস্তুর গৃহিণী। তাই এখন একুশকে নিয়ে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটছে তার। অন্যদিকে, দাদী নুরজাহান বেগমের সাথেও সারাদিন দুষ্টুমিতে মেতে থাকে একুশ। যতক্ষণ জেগে থাকে ততক্ষণ দাদী আর নাতির দুষ্টুমি আর হাসি আনন্দে ভরে উঠে গোটা ঘর। নতুন এই দুনিয়া ঘিরে এখন বেশ হাসিখুশিভরা জীবন কাটাচ্ছেন জাকের-সাকিলা দম্পতি। পারিবারিকভাবে আগেই একুশকে বরণ করে নিতে ঘরোয়া পরিবেশও অনুষ্ঠান করা হয়েছে জানিয়ে একুশের বাবা ডা. মোহাম্মদ জাকের ইসলাম বলেন, ৫ এপ্রিল একুশকে বাসায় আনার পর ৬ এপ্রিল চকবাজারের বাসায় আত্নীয়স্বজনদের নিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে বরণ করে নিই আমাদের সন্তানকে। একুশ ঘরে আসার পর থেকে পরিবেশ অনেক পাল্টে গেছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ঘরের পরিবেশ একদম পাল্টে গেছে, হাসি আনন্দে পরিবারের সবাইকে মাতিয়ে রাখে একুশ একাই। কর্ম ত্ের থেকে যত দ্রুত সম্ভব ফিরে আসি কাজ শেষ করে। মন ভরে যায় ঘরে ফিরে। উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে নগরীর কর্নেলহাট এলাকায় ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার করা হয় একুশকে। পরবর্তীতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নবজাতক বিভাগে রাখা হয়। একুশকে লালনপালনের জন্য আবেদন করা ১৬ দম্পতির মধ্যে জাকের-সাকিলা দম্পতিকে হস্তান্তর করা হয়। ২৯ মার্চ বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস একুশকে এই দম্পতির জিম্মায় হস্তান্তরের আদেশ দেন। আদেশ অনুযায়ী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নবজাতক বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. দেবাশীষ চৌধুরী জাকের-সাকিলা দম্পতির কাছে হস্তান্তর করেন একুশকে।
