অর্থমন্ত্রীর জীবনের ‘শ্রেষ্ঠ বাজেট’ এখন খাবি খাচ্ছে। মূল যে সংস্কার প্রস্তাব- নতুন ভ্যাট আইন, তা’ই স্থগিত করা হয়েছে ২ বছরের জন্য। এর ফলে সোয়া চার লাখ কোটি টাকার অতি উচ্চাভিলাষী বাজেটের বাস্তবায়ন নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সিপিবি ঠিকই বলেছে, ‘আবগারি শুল্ক, ভ্যাটে সরকারের পিছু হটা সত্ত্বেও এ বাজেট এখনো গণবিরোধী।’ কারণ যে সমস্ত পরিবর্তন আনা হয়েছে, তা প্রধানত ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের মুখে। জনগণের কল্যাণ বিবেচনায় নয়।
অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের যে পরিকল্পনা অর্থমন্ত্রীর ছিল তা আদায়ের যোগ্য কাঠামো  মোটেই গড়ে তোলা হয় নি। ‘উন্নয়নের মহাসড়কে’ উঠে অর্থনীতি এখন মগবাজার ফ্লাইওভারের মতো ট্রাফিক পুলিশের অপেক্ষায় থমকে দাঁড়িয়ে আছে। ৩০শে জুন পত্রিকার খবরে আছে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমা টাকার পরিমাণ গত ১ বছরে ১০০০ কোটি টাকার চেয়ে বেশি  বেড়েছে।
সরকার কিভাবে এই অতিরিক্ত ঘাটতির টাকা  জোগাবে? অর্থ পাচারকারী ধরতে ব্যর্থ এই সরকার নিশ্চয়ই আবার গরিব, নিম্নবিত্তের পকেটে হাত ঢোকাবে। এ জন্য আমি নির্বাচনী উচ্চাভিলাষ পরিহার করে কল্যাণমুখী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা  দেখলাম, এত সমালোচনা, প্রতিবাদ সত্ত্বেও ব্যাংকের লুটপাট, অব্যবস্থাপনার ব্যাপারে পাশ হওয়া বাজেটে কিছু বলা হয় নি। আর একটা কথা: কোনোভাবেই যাতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে হাত দেয়া না হয়। এ খাত দুটিতে বরাদ্দ হওয়া উচিত জিডিপির ৫%। এখন দেয়া হচ্ছে মাত্র ২.৫%।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031