স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে বাংলাদেশের গর্ব করার মতো বহু অর্জন রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারনিউমারি প্রফেসর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন। তার মতে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। দেশের ভাবমূর্তিও অনেক ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এতো কিছুর মাঝেও কিছু কিছু বিচ্যুতিও দেখতে পান তিনি। ৫০তম বিজয় দিবসকে সামনে রেখে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, এই সময়ে আর্থিক প্রবৃদ্ধিতে অনেক দূর এগিয়েছে। যা পাকিস্তানকে অনেক আগেই অতিক্রম করেছে এবং ভারতকেও পেছনে ফেলেছে। এটা নিঃসন্দেহে আত্মপ্রসাদের কারণ। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের দু’টো অর্জন রয়েছে।
একটি হচ্ছে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ। যার কারণে বিশ্বব্যাংকের গালে চপেটাঘাত পড়েছে। আরেকটি হচ্ছে- সম্প্রতি ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর নামে সৃজনশীল অর্থনীতিতে পুরস্কার চালু করেছে। যা অনন্য। বিশ্বের কোনো নেতার নামে এমন কোনো পুরস্কার দেয়া হয় বলে জানা নেই। এই অর্জন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করেছে। আমরা এগিয়েছি অনেক। আবার অনেক বেদনার বিষয়ও রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্র থেকে পথচ্যুত হওয়া, আদর্শিক বিচ্যুতি, সামাজিক বৈষম্য, অবক্ষয়, অর্থনৈতিক শোষণ দেশকে বিভিন্ন সময় উত্তাল করেছে।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বেদনাদায়ক হচ্ছে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে। এখনও সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা আছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রধর্মও আছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম থাকলে তা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার হতে পারে। কিন্তু বর্তমানে হেফাজতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের যে মধুর সম্পর্ক তা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি। তাই কবির ভাষায় বলতে হয়, ‘নগদে যা পারো খাও, বাকির খাতায় থাক চেতনা’।
