জয়ের মহানায়ক আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ছিলেন। কিন্তু সেই এমবাপেকে এদিন খুঁজেই পাওয়া গেল না! এ রাতটা মোটেও তার ছিল না। ছিল গ্রিসম্যান ও হুগো লরিসের। প্রথমজন গোল করলেন দুর্দান্তভাবে, পরের জন অবিশ্বাস্যভাবে গোল ঠেকিয়ে হলেন নায়ক।

কাভানি নেই। তারপরেও প্রথমার্ধে অসাধারণ খেলে উরুগুয়ে।কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের, ফ্রান্সের বিপক্ষে ১-০তে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে হয়েছে। অনেকগুলো সুযোগ সৃষ্টি করেছিল তারা। কিন্তু যেন বার্লিন প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন লরিস। দুর্দান্ত কয়েকটা সেভের পর ইনজুরি টাইমে উরুগুয়েকে নিশ্চিত একটা গোলটা বঞ্চিত করেন ফরাসী গোল কিপার হুগো লরিস।

ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে দারুণ হেড নিয়েছিলেন উরুগুয়েন ডিফেন্ডার মার্টিন ক্যাসেরেস। ডান দিকে লাফিয়ে পড়ে, ঝাপিয়ে পড়ে এক হাত দিয়ে কোনোমতো বিপদমুক্ত করেন ফরাসী গোল কিপার হুগো লরিস।  গোল কিপারের অবিশ্বাস্য সেভে বড় বাঁচা বেঁচে যায় ফ্রান্স।

৪০ মিনিটে রাফায়েল ভারানের হেড থেকে পাওয়া গোলে শেষমেশ ১-০তে লিড নিয়ে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে ফ্রান্স। দ্বিতীয়ার্ধেও খেলা দারুণ জমে ওঠে। চলে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ। গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে উরুগুয়ে। অন্যদিকে  আরেকটা গোল করে জয় নিশ্চিত করে ফেলার মিশনে ছিল ফ্রান্স। সেটাই হয়েছে।

দিনটা ছিল ফ্রান্সেরই।৬২ মিনিটে উরুগুয়েকে হতাশায় ডোবান গ্রিসম্যান। পল পগবার কাছ থেকে বল পেয়ে ২৫ জ দূর থেকে জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গ্রিসম্যান। তবে গ্রিসম্যানের যতটা না কৃতিত্ব ছিল, তার চেয়ে বেশি ব্যর্থতা উরুগুয়েন গোল কিপারের।

শটটি বেশ জেরালো ছিল, কিন্তু সঠিক পজিশন নিতে পারেননি উরুগুয়ের গোলকিপার। বল  হাতের আাঙুল দিয়ে ঠেকালেন বটে, কিন্তু প্রচেষ্টা সঠিক না হওয়ায় বল গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে মাথার উপর দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়। নিজের উপর বিরক্ত হওয়া ছাড়া কিছুই করার ছিল না তার।

২-০তে পিছিয়ে পড়াটা দলের মনোবলের জন্য বড় আঘাত। উরুগুয়ের জন্য ৬২ মিনিটের গোলটাই কাল হয়ে দাঁড়ালো। অনেক চেষ্টা করেও ব্যবধান কমাতে পরেনি তারা। প্রথম দল হিসেবে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ চারে ওঠে গেল ফ্রান্স।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031