রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ফলে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছেন। গতকাল শনিবার অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে নাফ নদ থেকে রোহিঙ্গাবোঝাই আরও ১১টি নৌকা ফেরত পাঠিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। তবে কয়েকটি সূত্র জানায়, এর পরও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ এড়িয়ে তিন শতাধিক রোহিঙ্গা বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে।
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা জানান, রাত নামলেই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ব্যাপক গুলির শব্দ শোনা যায়। কখনও দিনের আলোতেও পাওয়া যায় শব্দ। আগুনের লেলিহান শিখাও দেখা যায়। এতে এপারে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ও তাদের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা জানান, মিয়ানমারের সেনারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে প্রতিদিনই রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে অভিযান চালাচ্ছে। বাড়িঘরে আগুন দিচ্ছে। ধরে নিয়ে যাচ্ছে নারী-পুরুষদের। অনুপ্রবেশকারীরা এপারে আসার পর প্রতিদিনই জানাচ্ছেন কারও না কারও মৃত্যু অথবা নিখোঁজ সংবাদ। লেদা ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা নারী নুর ছেমন আরা বলেন, ‘ওপার থেকে গুলির শব্দ পেলেই আতঙ্কে দম বন্ধ হয়ে আসে। স্বামীসহ অনেক নিকটাত্মীয় এখনও মিয়ানমারে রয়েছে। সেনারা এখনও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। জানি না তাদের ভাগ্যে কী ঘটছে।’ গতকাল সকালে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা হামিদ হোসেন জানান, সীমান্তের ওপারে বনে-জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে অনেক রোহিঙ্গা। তাদের দেখলেই সেনারা গুলি করছে। জান বাঁচাতে দলে দলে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছে।
এদিকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বিজিপি আতঙ্কে নাফ নদে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশি জেলেরা। টেকনাফে বিজিবি ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ জানান, সীমান্তজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে হ্নীলা ইউনিয়নের মীনাবাজার গ্রামে অভিযান চালিয়ে তানিয়া আক্তার নামের এক নারী দালালকে আটক করা হয়। তার বাড়ি থেকে ৬ রোহিঙ্গাকে আটক করে গতকাল সকালে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। – See more at: http://www.teknafnews.com/%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%93%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a6%ae%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a7%80%e0%a7%9c%e0%a6%a8/#sthash.WlOkwdtd.dpuf
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা জানান, রাত নামলেই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ব্যাপক গুলির শব্দ শোনা যায়। কখনও দিনের আলোতেও পাওয়া যায় শব্দ। আগুনের লেলিহান শিখাও দেখা যায়। এতে এপারে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ও তাদের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা জানান, মিয়ানমারের সেনারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে প্রতিদিনই রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে অভিযান চালাচ্ছে। বাড়িঘরে আগুন দিচ্ছে। ধরে নিয়ে যাচ্ছে নারী-পুরুষদের। অনুপ্রবেশকারীরা এপারে আসার পর প্রতিদিনই জানাচ্ছেন কারও না কারও মৃত্যু অথবা নিখোঁজ সংবাদ। লেদা ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা নারী নুর ছেমন আরা বলেন, ‘ওপার থেকে গুলির শব্দ পেলেই আতঙ্কে দম বন্ধ হয়ে আসে। স্বামীসহ অনেক নিকটাত্মীয় এখনও মিয়ানমারে রয়েছে। সেনারা এখনও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। জানি না তাদের ভাগ্যে কী ঘটছে।’ গতকাল সকালে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা হামিদ হোসেন জানান, সীমান্তের ওপারে বনে-জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে অনেক রোহিঙ্গা। তাদের দেখলেই সেনারা গুলি করছে। জান বাঁচাতে দলে দলে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছে।
এদিকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বিজিপি আতঙ্কে নাফ নদে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশি জেলেরা। টেকনাফে বিজিবি ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ জানান, সীমান্তজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে হ্নীলা ইউনিয়নের মীনাবাজার গ্রামে অভিযান চালিয়ে তানিয়া আক্তার নামের এক নারী দালালকে আটক করা হয়। তার বাড়ি থেকে ৬ রোহিঙ্গাকে আটক করে গতকাল সকালে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। – See more at: http://www.teknafnews.com/%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%93%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a6%ae%e0%a6%a8-%e0%a6%aa%e0%a7%80%e0%a7%9c%e0%a6%a8/#sthash.WlOkwdtd.dpuf
