এক মুক্তিযোদ্ধা ভুক্তভোগি চট্টগ্রাম মহানগর আকবর শাহ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলমগীর মাহমুদসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ক্ষতিপুরণ মামলা করেছেন  । আদালতে বিচারাধীন বিরোধপূর্ণ জায়গা থেকে বেআইনীভাবে উচ্ছেদ করায় প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করা হয়।
জাকির হোসেন নামে ওই মুক্তিযোদ্ধা আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ মোহাম্মদ আলীর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। বাদীর আইনজীবি এডভোকেট শিমলা চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারী করেছেন।
ওসি মুহাম্মদ আলগীর ছাড়াও মামলার আরজিতে আরো যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেন, মো. ইছাহাক,  মো. হাফিজুর রহমান, আকবরশাহ থানার ১০নং তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন, তার পিতা শেখ আহম্মদ, মা জোহরা খাতুন, বোন হাজেরা খাতুন প্রকাশ পাখিনী ও লায়লা খাতুন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেনের সাথে প্রতিবেশীদের জায়গা জমি বিরোধ চলে আসছিল। ১৯৯১ সালের ১৫ই জুন এলাকার শেখ আহাম্মদের পরিবার জায়গার মালিকানা দাবী করে মামলা করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করেন আদালতে।

১৯৯৪ সালের ২৮শে এপ্রিল এ মামলায় মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেনের পক্ষে রায় দেন আদালত। পরে শেখ আহাম্মদের ছেলেরা আবার জেলা জজ আদালতে আপীল মামলা করেন। এতেও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষে দুই দফায় রায় হয়। এ অবস্থায় ২০১৩ সালের ৩রা এপ্রিল পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেনকে জায়গা বুঝিয়ে দেন। দখল বুঝিয়ে দেয়ার ৮ দিনের মাথায় আবারো আদালতে আপিল মামলা দায়ের করেন। আপিল বিভাগ বিরোধপূর্ণ ওই জায়গায় যে কোন ধরনের কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন।

এ অবস্থায় চলতি বছরের গত ৮ই এপ্রিল আকবর শাহ থানার ওসি মুহাম্মদ আলমগীরের সহযোগিতায় অন্যায়ভাবে পুলিশ দিয়ে জোরপূর্বক জাকির হোসেন ও তার পরিবার এবং ভাড়াটিয়াদের জায়গা থেকে উচ্ছেদ করে দেন।  থানা পুলিশের এ বেআইনি কাজের জন্য বাদী মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন উকিল নোটিশ দিলেও তাতে সাড়া না দিয়ে থানার তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন গংদের পক্ষে অবস্থান নেন।
মামলার বাদী জাকির হোসেন বলেন, এত বছর ধরে মামলার মাধ্যমে আসামীরা আমার ৩ কোটি ২০ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষতিসাধন করেছেন। তাই তাদের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে দারস্ত হয়েছি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আকবর শাহ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেনের মামলার বিষয়ে শুনেছি। আদালত সমন জারি করলেও তা হাতে আসুক। আইন মেনে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031