জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল ব্রেক্সিট নিয়ে বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে বৃটিশদের অবাধে চলাচল করতে (ফ্রি মুভমেন্ট) দেয়া হবে না। একই সঙ্গে তাদেরকে একক বাজারের (সিঙ্গেল মার্কেট) সুবিধা দেয়া হবে না। অ্যাঙ্গেলা মারকেল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেন বেরিয়ে যাওয়ার পর তাদের জন্য কোনোই ব্যতিক্রম করা যাবে না। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে বলা হয়েছে, বৃটেন যদি অবাধ চলাচলের সুবিধা অব্যাহত রাখে তাহলেই কেবল তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাণিজ্য করার পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পাবে। উল্লেখ্য, রোববার বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে বলেছেন, আগামী বছর মার্চের শেষে লিসবন চুক্তির ৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ সক্রিয় করতে পারেন। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে আসার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন একক বাজার সুবিধার বিষয়ে তিনি অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে প্রস্তুত। তার এ বক্তব্যের পর অ্যাঙ্গেলা মারকেল কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া যে খুব মসৃণ হবে তা দৃশ্যত মনে হচ্ছে না। ওদিকে ব্রেক্সিট নিয়ে ইউরোপের সঙ্গে বৃটেনের সমঝোতাকে ইউরোপে দেখা হচ্ছে ‘প্রিপারেশন ফর ব্যাটল’ বা যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল বলেছেন, বৃটেনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে চারটি বিষয়ে অবাধ সুবিধা দেয়া যাবে না। এর মধ্য রয়েছে অবাধ জন চলাচল। বাণিজ্যিক পণ্যের জন্য প্রাণকেন্দ্র ও সেবাখাত। এসব মূলনীতির কোনো ব্যত্যয় হলে তা হবে পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য একটি ‘সিস্টেমিক চ্যালেঞ্জ’। অ্যাঙ্গেলা মারকেল বুধবার বৈঠক করেন জার্মানির রপ্তানিকারকদের সঙ্গে। সেখানে তিনি বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, একক বাজারের সুবিধা চারটি মৌলিক স্বাধীনতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এদের আলাদা করা যায় না। যদি এক্ষেত্রে একটি দেশকে অবাধ চলাচলের সুবিধা দেয়া হয় তাহলে অন্য দেশগুলো একই দাবি করবে। এতে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করবে। ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী মাইকেল সাপিন বলেছেন, অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করার আগে বৃটেন দীর্ঘ সময় নিচ্ছে। এর অর্থ হলো তারা সমঝোতার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু এই সমঝোতা হতে পারে কঠিন। তাতে বৃটেনের স্বার্থ রক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা ঝুঁকিতে থাকতে পারে। তিনি বলেন, বৃটেন নিজেকে যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য সময় দিয়েছে। এ যুদ্ধ বৃটেনের স্বার্থের জন্য হবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি ২৭টি সদস্য দেশ তো সমঝোতায় তাদের স্বার্থের কথাই বলবে। তিনি আরও বলেন, যদি এমন একটি দেশ থাকে যে কঠোর সমঝোতার মধ্য দিয়ে করুণ পরিণতি ভোগ করবে সেটি হলো বৃটেন। উল্লেখ্য, গত জুনে ব্রেক্সিট গণভোটের পর থেকেই দ্রুত ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের প্রস্তান দাবি করছে ফ্রান্স সরকার।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
