কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় ইন্টারনেট ব্রাউজিং, মুভি দেখাসহ বিভিন্ন কাজে । দীর্ঘ সময় ব্যবহারের পর অনেক সময় অ্যাপ চালু না হওয়া বা ক্র্যাশ করা, ওয়েবসাইট দেরিতে লোড হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু কেন এমন হয় সে বিষয়ে কেউ জানে কেউ জানে না। কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার বেশকিছু কারণ রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যাবে।

র‌্যাম কমে যাওয়া: কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ভালোভাবে চালানোর জন্য র‌্যান্ডম অ্যাকসেস মেমোরি (র‌্যাম) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। র‌্যাম হচ্ছে কম্পিউটারের স্বল্পস্থায়ী মেমোরি। কম্পিউটারের প্রসেসর বা প্রসেসিং ইউনিট যেন দ্রত কোনো ফাইলে প্রবেশ করতে পারে সেজন্য এটি কাজ করে। কোনো অ্যাপ চালানোর জন্য বেশি র‌্যামের প্রয়োজন হয়। আবার ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান থাকলেও র‌্যামের ওপর চাপ পড়ে। এতে কম্পিউটার ¯েøা হয়ে যায় বা কাজের গতি কমে যায়। তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ রাখতে হবে। ব্যাকগ্রাউন্ডেও দরকার ছাড়া চালানো যাবে না। ব্রাউজারে অতিরিক্ত ট্যাব খোলা থাকলেও তা গতি কমিয়ে দেয়।

হার্ড ডিস্ক ড্রাইভের জায়গা শেষ হয়ে যাওয়া: কম্পিউটারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি মেমোরি হিসেবে হার্ড ডিস্ক কাজ করে। তবে এটি চিরস্থায়ী স্টোরেজ হিসেবে কাজ করে না। মূল ফাইলের পাশাপাশি কোনো অ্যাপ ভালোভাবে চালানোর জন্য হার্ড ডিস্ক টেম্পোরারি ফাইলও সংরক্ষণ করে। যে কারণে স্টোরেজ শেষ হয়ে যায় ও কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। তাই স্বাভাবিক গতিতে কম্পিউটার চালানোর জন্য হার্ড ড্রাইভের অন্তত ২০ শতাংশ জায়গা খালি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা।

পুরনো ভার্সনের সফটওয়্যার: অপারেটিং সিস্টেমের আপডেট অনেকেই ইনস্টল করে না। এটি কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়ার অন্যতম কারণ। প্রতিটি আপডেটের সঙ্গে নতুন ফিচার, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়। এগুলো কম্পিউটারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। তাই যেকোনো আপডেট আসার পর তা ইনস্টল করাই উত্তম।

কম্পিউটারে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারের সংক্রমণ: কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হয়। সেখান থেকে কখনো ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে পড়ে। এগুলোর স্বাভাবিক কাজই হচ্ছে কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়া। তাই ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক ডিভাইস কিংবা কম্পিউটার ভাইরাসমুক্ত রাখতে হবে। এজন্য অ্যান্টিভাইরাস বা অ্যান্টিম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া সফটওয়্যার ডাউনলোডের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। অপরিচিত বা সন্দেহভাজন কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় কোনো তথ্য দেয়া যাবে না।

কম্পিউটারের অত্যধিক তাপমাত্রা: কম্পিউটারের কেসিংয়ে থাকা ফ্যান যদি সবসময় একই গতিতে চলতে থাকে কিংবা ল্যাপটপের নিচের অংশ অত্যধিক তাপ উৎপন্ন করে তাহলে বুঝতে হবে কাজ সম্পাদনে সময় বেশি লাগছে। ফলে তাপ বাড়ছে। এটি সামগ্রিক কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। এ সমস্যা সমাধানে কেসিংয়ে থাকা ফ্যান যেন স্বাভাবিকভাবে কাজ করে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ল্যাপটপ বিছানা বা কোলের ওপর রাখা যাবে না। কম্পিউটারে যদি ধুলাবালি, ময়লা থাকে তাহলেও কাজের গতি কমে যাবে ও তাপমাত্রা বাড়বে। তাই সময়ের মধ্যে কম্পিউটার পরিষ্কার করতে হবে। ধুলা পরিষ্কারের জন্য এয়ার বেøায়ার ব্যবহার করা যায়।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031