করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ইতালি প্রবাসী মোরশেদ আলমের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীরও করোনা পজেটিভ এসেছে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে । এ নিয়ে নোয়াখালীতে দুইজনের করোনা শনাক্ত হলো। তবে ওই নারীর শরীরে কোন উপসর্গ না থাকায় তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তার পরিবারের ১৯জন সদস্যের।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাইনুল ইসলাম।
তিনি জানান, প্রবাসীর মৃত্যুর পর তার পরিবারের ১৯জন সদস্যের মধ্যে ১৩জনের নমুনা বাংলাদেশ ইনস্ট্রিটিউট অব ট্রফিক্যাল এন্ড এনফেকসাস ডিজিস (বিআইটিআইডি) চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। যার মধ্যে আটজনের রিপোর্ট এসেছে। এদের মধ্যে শুধু ওই নারীর করোনা পজেটিভ এসেছে। বাকি সাতজনের নেগেটিভ। অপর পাঁচজনের রিপোর্ট এখনো আসেনি। করোনা পজেটিভ আসা ওই নারীর বাড়ির অপর ছয় সদস্যের নমুনা মঙ্গলবার সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা আক্রান্ত ওই নারী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তবে ওই নারীর শরীরের করোনার কোন উপসর্গ না থাকায় তাকে আইসোলেশনে রাখার দরকার হয়নি। বর্তমানে তাকে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তার বাড়িতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ মোবাইল টিম কাজ করছে। ওই নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা নিয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি হওয়া ইতালি প্রবাসীকে গত বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে লাশ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। ১১ এপ্রিল শনিবার দুপুরে আইইডিসিআর থেকে তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
